থাইল্যান্ডে তেলাপিয়া মাছ নির্মূলে নানা পদক্ষেপ, ধরতে পারলে দ্বিগুণ দাম
৩ সেপ্টেম্বর : তেলাপিয়ার একটি ‘আক্রমণাত্মক’ প্রজাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে থাইল্যান্ড সরকার। কর্মকর্তারা বলছেন, মাছটি পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হওয়ায় এটি নির্মূলের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ‘ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া’ নামের এই প্রজাতি থাইল্যান্ডের অন্তত ১৭টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই মাছ অন্যান্য ছোট মাছ, কুচো চিংড়ি, শামুক ও লার্ভা খেয়ে ফেলছে, যেগুলো থাইল্যান্ডে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। সেই ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি করছে ‘ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া’। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর তেলাপিয়া মাছ কীভাবে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে থাই পার্লামেন্ট। ব্যাঙ্ককের আইনপ্রণেতা নাত্তাচা বুনচাইনসাওয়াতের মতে, এই তেলাপিয়ার কারণে থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে অন্তত ২৯৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে।
নাত্তাচা বলেন, ‘আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বিধ্বস্ত ইকোসিস্টেম রেখে যাব না।’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কমিটি গঠনের পাশাপাশি ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়ার বংশবিস্তার রোধে নদী ও জলাশয়ে ভেটকি ও মাগুরের মতো বিভিন্ন শিকারি মাছ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ব্ল্যাকচিন তেলাপিয়া ধরতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তেলাপিয়া মাছ ধরলে কেজিপ্রতি দ্বিগুণ দাম পাবেন যেকেউ। পানিতে নেমে মাছটি তুলে নেওয়ার পাশাপাশি জেনেটিক পরিবর্তনের মাধ্যমেও এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার ওপর জোর দিচ্ছেন কর্মকর্তারা। তবে থাই সরকার এমন একটি মাছের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, যার প্রজনন সক্ষমতা অনেক বেশি। একটি মা তেলাপিয়া একবারে ৫০০টিরও বেশি মাছের জন্ম দিতে পারে।
থাইল্যান্ডের জলজ প্রাণীর জেনেটিকস বিশেষজ্ঞ ড. সুইট উথিসুথিমেথাভি বলেন, ‘আমরা এর পরিসর সীমাবদ্ধ করে দিতে পারব না। কেননা, যখন এটি প্রকৃতিতে থাকে, তখন এর একটি দ্রুত প্রজনন চক্র বিদ্যমান থাকে।’ সূত্র : পুবের কলম।