আজমিরে দশমবারের মতো চাদর পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, রুখতে আদালতে হিন্দু নেতা
৮১৩তম বার্ষিক উরুস
৪ জানুয়ারি : খাজা মঈনুদ্দিন হাসান চিশতির দরগায় ৮১৩তম বার্ষিক উরুস উপলক্ষে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী শুক্রবার প্রথম জুমার নামাজ আদায় করেন। দরগাহ শাহজাহানি মসজিদ থেকে দরগা বাজার, কেয়াদ বিশ্রামস্থল ও ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত মুসল্লিদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। উরুস উপলক্ষে আজমিরে অবস্থিত ১৩ শতকের সুফি সাধক খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির রওজায় ১০ বারের মতো চাদর পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার এই চাদর নিয়ে পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
কিন্তু বিষয়টি এখন আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছে। হিন্দু সেনার সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তা দরগায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চাদর দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। আজমিরের একটি আদালতে এই আবেদন করা হয়েছে।
বিষ্ণু গুপ্ত এর আগে দাবি করেছিলেন যে আজমির শরীফ দরগায় একটি শিব মন্দির ছিল। আজমির আদালতে তার আবেদনের মামলা বিচারাধীন। আবেদনে দরগাহ সমীক্ষার দাবি জানানো হয়েছে।
লাইভ ল-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিষ্ণু গুপ্ত বিচারাধীন মামলায় চাদর নিষিদ্ধ করার আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু বিতর্কিত কাঠামোর ওপর একটি শিট পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং ন্যায্য বিচারের অধিকারকে দুর্বল করেছে।
পুলিশ সুপার বন্দিতা রানাও শুক্রবার দরগাহ পরিদর্শন করেন এবং ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। শনিবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চাদর নিয়ে আজমির পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। কায়দের বিশ্রামস্থলে নির্মিত অস্থায়ী মসজিদের ভিতরে ও বাইরে মুসল্লিদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখানে মওলানা জাকির হোসেন ভক্তদের নামাজ পড়ান।
এ দিকে, প্রধানমন্ত্রীর চাদর পাঠানোকে স্বাগত জানিয়েছে আঞ্জুমান। আঞ্জুমানের সেক্রেটারি সারওয়ার চিশতি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চাদরের আগমনকে আঞ্জুমান স্বাগত জানায়। দশ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী পাঠাচ্ছেন। তিনি এও জানান, জওহরলাল নেহেরুও ১৯৪৭ সাল থেকে দরগা শরীফে চাদর পাঠাতেন। আঞ্জুমানের পক্ষ থেকে সবাইকে স্বাগতম জানিয়েছেন তিনি।