হাইলাকান্দি শ্রীরামকৃষ্ণ নিম্বার্ক সংস্কৃত বিদ্যাপীঠে সংস্কৃত দিবস উদযাপন
বরাক তরঙ্গ, ৯ সেপ্টেম্বর : অসম সরকারের শিক্ষা বিভাগের নির্দেশ মর্মে মঙ্গলবার হাইলাকান্দির শ্রীরামকৃষ্ণ নিম্বার্ক সংস্কৃত বিদ্যাপীঠ (অধ্যয়ন ও গবেষণা কেন্দ্র) কর্তৃক সংস্কৃত দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন সকাল ১০-৩০টায় অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়।
শুরুতে বিদ্যাপীঠের প্রধান অধ্যাপক রঞ্জনকুমার ভট্টাচার্য্য অতিথিদের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রেখে অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন। এরপর বিদ্যাপীঠের পক্ষ থেকে অতিথিদের উত্তরীয় দিয়ে বরণ করা হয়। এরপর সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান চলে বিকাল ২টা পর্যন্ত। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিদ্যাপীঠ পরিচালন সমিতির সভাপতি নীতিশ ভট্টাচার্য, সমাজকর্মী সুব্রত শর্মা মজুমদার, সাংবাদিক ড০ শতানন্দ ভট্টাচার্য, সংস্কৃত ভারতী হাইলাকান্দি জেলা সভাপতি সুশান্তমোহন চট্টোপাধ্যায়, কাছাড় জেলা থেকে সংস্কৃত ভারতীর দক্ষিণ অসম প্রান্ত মন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী এবং পশ্চিম কাছাড় জেলার সংযোজক শ্যামদাস সিংহ, সংস্কৃতি কর্মী সুদর্শন ভট্টাচার্য এবং শংকর চৌধুরী, বিশিষ্ট পুরোহিত হারাণ চৌধুরী, সংস্কৃত ভারতীর প্রাক্তণ সদস্য মণি নাথ প্রমুখ। অতিথিগণ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করার সঙ্গে দীপ প্রজ্জ্বলন মন্ত্র ও উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বন্দনা চক্রবর্তী। এরপর সরস্বতী বন্দনা পরিবেশন করেন দীপশঙ্কর পাল। শিল্পীদের তবলায় সহযোগিতা করেন কিরীটি চক্রবর্তী। এরপর ছিল অতিথিদের বক্তব্যের অনুষ্ঠান। বক্তারা বলেন সংস্কৃত ভাষা হলো দেবভাষা তথা প্রাচীন ভারতের আদিভাষা। বর্তমানে সংস্কৃত ভাষা এবং এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে বিদেশেও গবেষণা হচ্ছে। তাই সনাতন ভারতের প্রত্যেকে সংস্কৃত ভাষা অধ্যয়ন করা একান্ত জরুরী। সংস্কৃত ভারতীয় তথা ভারতের সংস্কৃতির পরিচয়। সংস্কৃত ভাষা জানলে আমাদের সংস্কৃতিকেও ধরে রাখা যাবে।

বক্তব্যের পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে যোগ সংস্কৃতি কেন্দ্রের পক্ষে প্রধান প্রশিক্ষক রোহিত চৌধুরী ও প্রশিক্ষক সায়ন্তন চন্দ্রের পরিচালনায় যোগ প্রদর্শন করে বিনীতা নাথ, সীমারানি দাস, দীপিকা কোল, বাণী তেলী, অনিতা তুরিয়া, সুশীল নায়েক এবং শিবম নাথ। অরুণ সিংহার পরিচালনায় স্টেপ আপ ড্যান্স অ্য়াকাডেমির শিশুশিল্পী হর্ষিতা ভট্টাচার্য, সানভি মজুমদার, পঙ্কজ রায়, অনন্যা দাস, নাশিতা চৌধুরী, প্রিয়শ্রী দেব এবং দীপাংশী কুন্ডু আগমণী নৃত্য পরিবেশন করে। আকাশ দেবনাথ, অঙ্কিত দেবনাথ এবং সনু রায় শিব তাণ্ডব ঊপস্থাপন করে। তারপর একক তবলা লহরা পরিবেশন করে স্বস্তিক সিনহা চৌধুরী। সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে রোশনী খাসিয়া, নিয়ন্তী রিয়াং, জীবনশ্রী ত্রিপুরা, রুমিতা কার্বি, কল্পিতা খাসিয়া এবং সুস্মিতা বর্মন। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে রুবিরুং রিয়াং, চহিতা ত্রিপুরা, বিউটি বর্মন এবং নমিতা রিয়াং। গণেশ বন্দনা পরিবেশন করে দুই শিশুশিল্পী পূরব শুক্লবৈদ্য এবং প্রিয়ষী দেব। তবলায় সহযোগিতা করে ধনঞ্জয় শর্মা।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্ব শেষে অনামিকা নাথ ডেকার পরিচালনায় সমবেত গীতা পাঠে অংশ নেয় রত্নজিৎ পাল, জিৎ ডেকা, শ্রেয়াংশ আচার্য, শাশ্বত পাল, ঋদ্ধিমান দে, সপ্তদীপ দেব, কৃতি সুন্দর দেব, ভার্গব নন্দী, সৌরজিতা নাথ, আরুষী ভট্টাচার্য, তপস্বিনী শর্মা মজুমদার, আয়ুষ দাশগুপ্ত, শুভশ্রী দাস এবং ঋতিক দাস। এরপর শুরু হয় গীতা শ্লোক আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত ‘ক’ বিভাগে অংশ নেয় শ্রেয়াংশ আচার্য, শাশ্বত পাল, ঋদ্ধিমান দে, কৃতি সুন্দর দেব এবং ভার্গব নন্দী। এদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে ক্রমে ভার্গব নন্দী, ঋদ্ধিমান দে এবং কৃতীসুন্দর দেব। পঞ্চম শ্রেণী থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত খ’ বিভাগে অংশ নেয় শুভম চক্রবর্তী, সপ্তদীপ দেব, সৌরজিতা নাথ, আরুষী ভট্টাচার্য, আয়ুষ দাশগুপ্ত এবং শুভশ্রী দাস। এদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে ক্রমে শুভশ্রী দাস, শুভম চক্রবর্তী এবং সৌরজিতা নাথ। অষ্টম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত গ’ বিভাগে অংশ নেয় করিনা ত্রিপুরা, রানি খাসিয়া, রত্নজিৎ পাল, জিৎ ডেকা এবং তপস্বিনী শর্মা মজুমদার। এদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে ক্রমে তপস্বিনী শর্মা মজুমদার, জিৎ ডেকা এবং করিনা ত্রিপুরা। প্রতিযোগিতার বিচারক হিসাবে ছিলেন গৌতম চক্রবর্তী এবং হারাণ চৌধুরী। নয়ন্তী রিয়াং, চহিতা ত্রিপুরা এবং জীবনশ্রী ত্রিপুরার সমবেত সঙ্গীত এবং ধনঞ্জয় শর্মার চণ্ডীপাঠের