নুরুদ্দিন ট্রফিতে শতরান হাতছাড়া সৌম্যকান্তি, ডিমা হাসাওর বিরুদ্ধে ভালো অবস্থানে হাইলাকান্দি
ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৩ এপ্রিল: সেঞ্চুরিটা ময়দানে ছেড়ে এলেন সৌম্যাকান্তি পাল। হাইলাকান্দি জেলা দলের এই ব্যাটসম্যান আজ ৯৬ রান করে ক্যাচ আউট হয়ে যান। তবুও আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত নুরুদ্দিন আহমদ ট্রফি সিনিয়র আন্তঃজেলা ক্রিকেটে ডিমা হাসাওয়ের বিরুদ্ধে ভাল অবস্থানে রয়েছে হাইলাকান্দি জেলা দল। দুদিনের ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত বুধবার তারা প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড নিয়ে খেলছে।
এদিন লাঞ্চ বিরতির পর খেলা শুরু হলে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় হাইলাকান্দি। এরপর ডিমা হাসাওকে ১৪৮ রানে অলআউট করে দেয়। পাহাড়ি দলটির অধিনায়ক জাহির উদ্দিন করেন সর্বাধিক ৪৭ রান। রোহিত জয়শি অপরাজিত ২১ এবং প্রসেনজিৎ ঘোষ ২০ রান করেন। হাইলাকান্দির অরিন্দম দেব, রাজিত পালচৌধুরী চারটি করে এবং আমজাদ হুসেন চৌধুরী দুই উইকেট নেন।
জবাবে স্টাম্প পর্যন্ত হাইলাকান্দি করেছে ৫ উইকেটে ২০৪ রান। দলের ব্যাটারদের মধ্যে সৌম্যকান্তি পাল ৯৬ রান করেন। টি২০ মেজাজে মাত্র ৫১ বলের ইনিংসে তিনি দশটি ছক্কা এবং সাতটি বাউন্ডারি মারেন। স্মিথ বিশ্বাস ২৯ এবং আল আমন মজুমদার ১৮ রানে ক্রিজে রয়েছেন। এছাড়া ২৪ রান করে আউট হয়েছেন কবীর আহমদ চৌধুরী। এই ম্যাচ ড্র হলে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকায় হাইলাকান্দি তিন পয়েন্ট এবং ডিমা হাসাও এক পয়েন্ট পাবে। তবে সরাসরি জিততে পারলে হাইলাকান্দি ছয় পয়েন্ট পেতে পারে। বোনাস পেলে আরও এক পয়েন্ট যোগ হবে। সেক্ষেত্রে তাদেরকে ইনিংস ব্যবধানে অথবা দশ উইকেটে জেতার প্রয়োজন। এবং এই দুটি সম্ভাবনাই এখনও রয়েছে।
বুধবার সকালে আসাম ক্রিকেট সংস্থার পতাকা উত্তোলন করেন এসিএ প্যানেল আম্পায়ার তাজ উদ্দিন ও হিমাদ্রি শেখর দাস। শিলচর ডিএসএ-র পতাকা উত্তোলন করেন অন্যতম সহসভাপতি আশুতোষ রায়। শুরুতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সচিব দেবাশিস সোম ও সহসচিব মেজর স্পোর্টস অরিজিৎ গুপ্ত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সহসচিব যাদব পাল এবং সুইমিং শাখার সচিব সুখেন সরকার। শিলচর ভেন্যুতে দক্ষিণ অসম জোনের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, শিলচরের সতীন্দ্রমোহন দেব মেমোরিয়াল স্টেডিয়ামে এদিন বৃষ্টির জন্য সকালের সেশনে খেলা হয়নি। লাঞ্চের পর খেলা শুরু হয়।