শিলচরে প্রধানমন্ত্রী সুরজ প্রকল্পের উদ্বোধন রাজ্যপাল কাটারিয়ার
জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৩ মার্চ : প্রধানমন্ত্রী সুরজ প্রকল্পের উদ্বোধনের শিলচরের বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত আউটরিচ কার্যসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে রাজ্যপাল গোলাপচাঁদ কাটারিয়া বঞ্চিত তপসিলি জাতি, অনগ্রসর শ্রেণী ও সেনিটেশন কর্মীদেরকে ১ লক্ষ টাকার ঋণ এর অনুমোদন, সেওয়ার ও সেপটিক ট্যাঙ্ক কর্মীদের মধ্যে আয়ুষ্মান কার্ড ও পিপি কিট বিতরণ এবং সুবিধাভোগীদের অনুমোদনপত্র বিতরণ করে ভাষণ প্রদান করেন l এতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠানের আগে রাজ্যপাল তার ভাষনে বলেন, তিনি বিগত ৪৫ বছরের রাজনীতিতে এমন প্রধানমন্ত্রী কখনো দেখেননি যিনি বাস্তবে উচু- নিচু জাতি – ধর্ম, ভেদাভেদ না করে গরিব কল্যাণের কাজের সূচনা করেছেন যা অত্যন্ত আনন্দদায়ক, তিনি বলেন, আগেও বিভিন্ন প্রকল্প এসেছে, কিন্তু কিছু ব্যক্তির জন্য এগুলো রুপায়ন করা হতো, কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের প্রকল্পের আওতায় আসা সকলের জন্য সম্পূর্ণভাবে লাভান্বিত করতে সচেষ্ট।
রাজ্যপাল বলেন, দেশের ৫৫২ টি জেলাতে এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকল্পের সূচনা করছেন। তিনি পূর্ব প্রধানমন্ত্রীর রাজীব গান্ধীর উদাহরণ তুলে বলেন, আগেও গরিব কল্যাণের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব কল্যাণ এর অর্থ মাত্র ১৫ শতাংশ কাজে আসতো, কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার জন্য গরিব মানুষ সম্পূর্ণভাবে উপকৃত হচ্ছেন। রাজ্যপাল প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পসমূহের কথা উল্লেখ করে বলেন, ব্যাংকের মধ্যে গরিবদের একাউন্টের অর্থ দেশের বিকাশের জন্য কাজে আসছে । বর্তমান সরকারের দ্বারা দেশের ৪ কোটি মানুষের গৃহ নির্মাণ, উজ্জলা যোজনা,দেশের মানুষের প্রায় ৭০ শতাংশ নলের মাধ্যমে পানীয়জলের ব্যবস্থা, দেশের প্রায় ৮০ কোটি মানুষের জন্য চাল / গম বিনামূল্যে প্রদান করতে সমর্থ্ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আগামী পাঁচ বছর এভাবে মানুষ উপকৃত হতে পারবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। গরিব কল্যাণের জন্য
বর্তমান সরকারের আয়ুষ্মান কার্ডের দ্বারা বহুভাবে উপকৃত হতে পারবে বলে রাজ্যপাল আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায় তার ভাষণে বলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিগত দশ বছর সম্পূর্ণ হতে চলল, নির্বাচনের অধিসূচনা জারি হয়ে গেলে সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ স্থগিত রাখতে হয়, ডাঃ রায় বলেন, বর্তমান কেন্দ্র সরকার যে সব উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নিয়েছেন সেগুলির অধিকাংশ চার ধরনের মানুষ উপকৃত হয়েছে, তাঁরা হলেন গরিব মানুষ, দ্বিতীয় মহিলা, তৃতীয় যুবশক্তি, এবং চতুর্থ নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে । তিনি রাজ্য সরকারের প্রদত্ত নীতি অনুসারে কাজের অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানান, তিনি মহিলাদের প্রায় ১ লক্ষ্ ৭৫ হাজার গ্যাস সিলিন্ডার প্রদানের কাজ, প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার শৌচালয় নির্মাণের কাজ, পিএমএওয়াই যোজনার অধীনে প্রায় এক লক্ষ ১১ হাজার মহিলারা উপকৃত হয়েছেন, ২ লক্ষ ৪০ হাজার অরুণোদয় প্রকল্পের অধীনে এবং রেশন কার্ড বিতরণের কাজের অগ্রগতির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। ডাঃ রায় অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের জন্য কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই অনুষ্ঠানে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদার।
শুরুতে উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন রাজ্য সরকারের সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন বিভাগের কমিশনার-সেক্রেটারি বীরেন্দ্র মিত্তাল। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে জেলা কমিশনার রোহনকুমার ঝা, পুলিশের ডিআইজি কঙ্কনজ্যোতি শইকিয়া, পুলিশ সুপার নুমুল মাহাতো প্রমুখ এতে অংশ নেন। এই অনুষ্ঠানে প্রতীকী হিসেবে তপসিলি জাতি, অনগ্রসর শ্রেণীর পাঁচ জন মহিলাকে অনুদান রাশি প্রদান করা হয়, এদের মধ্যে শিপ্রা দাস, রিংকু বিশ্বাস, মমতা দাস, সঙ্গীতা দাস এবং শিল্পীরানি রায় রয়েছেন এবং নমস্তে আয়ুষ্মান কার্ড এবং পিপিই কিট বিতরণ করা সাফাই মিত্ররা হলেন মিঠন দাস, রাজকুমার রবিদাস, বাজাই রংমাই, সবিনয়চন্দ্র দাস এবং মনিরুল হোসেন চৌধুরী। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিপ্লব বিশ্বাস l