ধলাইয়ে সোনা উদ্ধার, আটক মহিলা সহ ৩ মিজো লোক
রাজীব মজুমদার, ধলাই।
বরাক তরঙ্গ, ২৯ মার্চ : কাছাড় জেলার মিজোরাম সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার সোনা। শনিবার বিকেলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ ধলাইয়ের রাজঘাট রাঙ্গাউটি এলাকা থেকে ৯৪৯ গ্রাম ওজনের ছয়টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে পুলিশ । এই ঘটনায় এক মহিলা সহ মিজোরামের তিন নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ।
ধৃতরা সকলেই মিজোরামের আইজল জামাবুকের বাসিন্দা। ধৃত তিনজন যথাক্রমে থাংমিঙ্গা (৪৩), রেমলালং হেকা (২৮) এবং লাল নুন পুই (৪০)। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য কোটি টাকার কাছাকাছি হবে।
সূত্রে খবর, মায়ানমার থেকে আনা ওই সোনার বিস্কুটগুলি রাজঘাট রাঙ্গাউটি এলাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে ঘোরাফেরা করছিল অভিযুক্তরা। রাজঘাট রাঙ্গাউটি গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে খদ্দেরের খোঁজে ছিল তারা। সেই সময় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধলাই থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে হানা দেয় এবং হাতেনাতে তিনজনকে ধরে ফেলে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৬টি সোনার বিস্কুট।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত ধলাই থানায় ছুটে আসেন কাছাড়ের পুলিশসুপার নোমাল মাহাতো, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত সেন এবং অতিরিক্ত পুলিশসুপার (ক্রাইম) রজত পল।

উল্লেখ্য, অসম-মিজোরাম সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তঃরাষ্ট্রীয় চোরাচালান কারবারিদের কাছে একটি করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর আগে এই সীমান্ত এলাকা থেকে বহু মাদক ও অন্যান্য চোরাচালানের সামগ্রী উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফের বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধারের ঘটনা প্রমাণ করে যে, চোরাকারবারীরা নিত্যনতুন কৌশল অবলম্বন করলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

ধলাই থানার পুলিশ আটক হওয়া তিন মিজো নাগরিকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ মনে করছে, এই ঘটনার তদন্তে আন্তঃরাজ্য সোনা পাচার চক্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসতে পারে। পুলিশের এই সাফল্যে সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত বাকি রয়েছে জানিয়ে পুলিশসুপার কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।