গোবিন্দপুর, আলগাপুর ও ডুংরিপার জলের তলায়, হাহাকার
কেএইচ লস্কর, লক্ষীপুর।
বরাক তরঙ্গ, ৩১ মে : বন্যায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বাঁশকান্দি উন্নয়ন খণ্ডের অধীন গোবিন্দপুর, আলগাপুর ও ডুংরিপার জিপি এলাকায়। বরাক নদীর জলে দুই জিপির প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত। সহস্রাধিক ঘরবাড়ি জলের তলায়। স্থানীয় এলপি স্কুল গুলোও জলের নীচে। বানভাসিরা আশ্রয় নিয়েছেন নিকটাত্মীয়দের বাড়িতে কেউ আবার সড়কে। গো মহিষ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন গোবিন্দপুর আলগাপুর ও ডুংরিপার জিপির বন্যাক্রান্তরা। দুই জিপির বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। অনেকেই নিজের ঘরের আসবাবপত্র পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। একেবারে কৃষি নির্ভর দুই জিপির জনগণের শাকসবজি একেবারে জলের তলায়। জলের উপর মানুষের ঘরের শুধু টিন দেখা যাচ্ছে।
লক্ষীপুর কেন্দ্রের চিরি এবং জিরি নদীর সঙ্গে সঙ্গে বরাক নদী রুদ্ররুপ ধারণ করেছে। তিনটি নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় লক্ষীপুর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। চারিদিকে হইচই পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এসডিআরএফ টিম লক্ষীপুর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জলবন্দী হয়ে থাকা বন্যা আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে বের করে এনে নিরাপদ স্থানগুলোতে পৌঁছাচ্ছে।
ইতিমধ্যে লক্ষীপুর মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চারটি শরণার্থী শিবির স্থাপন করা হয়েছে। একটি জিরিঘাট এলাকার নন্দনকানন এলপি স্কুলে, দ্বিতীয়টি দিঘিলী বাহাদুরপুর এলপি স্কুলে, তৃতীয়টি বালাধন চা বাগান এলপি স্কুলে এবং চতুর্থটি পয়লাপুল নেহেরু উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। বন্যা পরিস্থিতি আরও জটিল হলে হয়তো আরও নতুন নতুন শিবির স্থাপন করার প্রয়োজন পড়তে পারে।