গণেশ চতুর্থীতে জাঁকালো আয়োজন ওমকার গ্রুপের
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ আগস্ট : আসন্ন গণেশ চতুর্থীকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজে মেতে উঠছে গোটা পাথারকান্দি। প্রতি বছরের মতো এ বছরও মহাধুমধামের সাথে ওমকার গ্রুপ আয়োজন করছে বিশেষ পূজা, শোভাযাত্রা, অংকন প্রতিযোগিতা ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শহরজুড়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে উৎসবমুখর প্রস্তুতি।
এবারের গণপতি প্রতিমা গড়ে তুলছেন শ্রীভূমির খ্যাতনামা শিল্পালয়ের মৃৎশিল্পীরা। প্রতিমার আকার-আকৃতি ও শৈলীতে থাকছে অভিনবত্ব ও শৈল্পিক কৌশলের নিপুণ ছাপ। প্রতিমায় রঙের প্রলেপ পড়তেই উৎসুক ভক্তদের ভিড় লেগে যাচ্ছে শিল্পশালায়।
স্থানীয় রবীন্দ্রভবন প্রাঙ্গণে চলছে মণ্ডপ নির্মাণের কাজ। আলোকসজ্জা ও সজ্জায় থাকছে আধুনিকতার ছোঁয়া। বলা হচ্ছে, এবারকার প্যান্ডেল সাজ সবার নজর কাড়বে। দর্শনার্থীদের আরাম-আয়োজনে রাখা হচ্ছে বিশেষ নজর।
আগামী ২৬ আগস্ট এক বিশেষ শোভাযাত্রার মাধ্যমে শ্রীভূমি থেকে প্রতিমা আনয়ন করা হবে।
২৭ আগস্ট মহাধুমধামে শুরু হবে বিশেষ গণেশ আরাধনা, চলবে পূজার্চনা, আর ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ। পরের দিন ২৮ আগস্ট দিনভর চলবে পুজো-পাঠ, অংকন প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ওমকার গ্রুপ প্রতিবছরই স্কুল পড়ুয়া শিশুদের জন্য অংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে, যা স্থানীয় শিশু-কিশোরদের মধ্যে সাড়া ফেলে। এবারের প্রতিযোগিতাতেও অংশ নেবে এলাকার একাধিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকছে ভক্তিগীতি, নৃত্যানুষ্ঠান, আবৃত্তি ও ধর্মীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। গত বছরের মতো এ বছরও দর্শকদের মন জয় করবে বলেই আশা আয়োজকদের।
উৎসবকে কেন্দ্র করে দিনরাত কাজ চলছে আয়োজকদের তরফে। শহরজুড়ে আমেজ ছড়িয়ে দিতে একেবারে নাওয়া-খাওয়া ভুলে ব্যস্ত সকলে।অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে স্থানীয় বিধায়ক তথা অসম মন্ত্রিসভার মৎস্য, পশুপালন ভেটেনারি ও পূর্ত বিভাগেরমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পালকেও।
ওমকার গ্রুপের মুখ্য উদ্যোক্তা রুবেল পাল সংবাদ মাধ্যমকে জানান পাথারকান্দির মানুষের ভালবাসা ও সহযোগিতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। প্রতিবছর আমরা চেষ্টা করি নতুন কিছু উপহার দিতে। এবারের আয়োজনও শহরবাসীর জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রতিবছর যেমন, এবারের গণেশ আরাধনাও হয়ে উঠছে পাথারকান্দির সামাজিক মিলনক্ষেত্র। পুজো উপলক্ষে শহরজুড়ে মানুষের মধ্যে যে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে, তাতে স্পষ্ট ওমকার গ্রুপের এই আয়োজন একেবারেই ব্যতিক্রমী।