মর্যাদা সহকারে স্মরণ উনিশ, আবেগে ভেসে গেল গান্ধী বাগ

আশু চৌধুরী, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৯ মে : শ্রদ্ধা ও আবেগে ভেসে গেল শিলচর গান্ধী বাগ। সোমবার শিলচরের গান্ধী বাগে থাকা একাদশ ভাষা শহিদ স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা জানাতে কাছাড়ের গ্রাম শহরের শত শত ভাষাপ্রেমী লোক জমায়েত হন। বহু সংস্থা, সংগঠন, সাংস্কৃতিক দল, রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, সমাজকর্মী ও সাধারণ মানুষ ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে লাইনে দাঁড়ান। বেলা ২-৩৫ বাজতেই সৌধের দ্বার খোলা হলে ফুল, পুষ্প স্তবক, মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই।

শ্রদ্ধা নিবেদনে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের মধ্যে ছিলেন জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. তপোধীর ভট্টাচার্য, লোক গবেষক ড. অমলেন্দু ভট্টাচার্য, বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্যে ও সংস্কৃতি সম্মেলনের প্রাক্তন কাছাড় জেলা সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরী, বর্তমান জেলা সভাপতি সঞ্জীব দেবলস্কর, সিহাবউদ্দিন আহমেদ, অজয় চক্রবর্তী, বাবুল হোড়, ছিলেন শিলচরের সাংসদ পরিমল শুক্লবৈদ্য, শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, ধলাই বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস, বিজেপি কাছাড় জেলা সভাপতি রূপম সাহা, শিলচর জেলা কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ পাল, সিটু জেলা সভাপতি সুপ্রিয় ভট্টাচার্য, এআইইউটিসির রফিক আহমেদ, এসইউসিআইর জেলা

সম্পাদক ভবতোষ ভট্টাচার্য, সুব্রতচন্দ্র নাথ, দৈনিক যুগশঙ্খ গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান বিজয়কৃষ্ণ নাথ, বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী দুলাল রায়, মুলচাঁদ বৈদ, আইনজীবী অজয় রায়, সাংস্কৃতিক সংগঠক নিখিল পাল, সমাজকর্মী সাধন পুরকায়স্থ, সাহিত্যিক দীপক সেনগুপ্ত, কবি শতদল আচার্য, আইনজীবী শান্তনু নায়েক, পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী, রাজকুমার পাল, শান্তনু সেনগুপ্ত, ভাস্কর দাস, মৃদুল মজুমদার, সুজন দত্ত, অমিতাভ রায়, আইনজীবী ধর্মানন্দ দেব, সমাজকর্মী স্বর্ণালী চৌধুরী, সৃজনী পত্রিকার

মৃদুলা ভট্টাচার্য, সঙ্গীতশিল্পী বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, সাংবাদিক বিকাশ চক্রবর্তী, মিতা দাস পুরকায়স্থ, ঝুমুর পাণ্ডে, সাংবাদিক চয়ন ভট্টচার্য, সঞ্জীব রায়, সোনাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি মিলন উদ্দিন লস্কর, সমাজকর্মী জয়দীপ চক্রবর্তী, ইকবাল বাহার লস্কর, সমাজসেবী পল্লবিতা শর্মা ও সৌমিত্র দত্ত রায়, নাট্যব্যক্তিত্ব শেখর দেবরায় ও সায়ন বিশ্বাস এবং প্রাণব পাল চৌধুরী, বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী দেবজিত সাহা, জাকালকার পক্ষে সভাপতি নির্মলকুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক এম শান্তিকুমার সিংহ, সম্পাদক নেহারুল আহমেদ মজুমদার, আইনজীবী তানিয়া সুলতানা লস্কর, হানিফ বড়ুয়া, প্রিনন কণা দাস, আদিমা মজুমদার, কনক পাল, ইউনিস চৌধুরী, বিমান মালাকার প্রমুখ।

সংগঠনগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ, জেলা কর্মচারী সংঘ, শিলচর প্রেস ক্লাব, সোনাই প্রেস ক্লাব, জননী, আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট সোসাইটি, বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্যে ও সংস্কৃতি সম্মেলন, পাবলি, কালচারাল ইউনিট, রূপম, লায়ন্স ক্লাব, রোটারি ক্লাব, মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতি, সরকারি পেনশনভোগী সংস্থা, সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুল, নন্দিনী সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র, অসম মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সংস্থা ও অসম

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সংস্থা,  ইনার হুইল ক্লাব, ইয়াসি, লায়ন্স ক্লাব অব শিলচর ভ্যালি ভিউ, লায়ন্স ক্লাব সেন্ট্রাল, উনিশে মে উদযাপন কমিটি, মাতৃভাষা রক্ষা সংগ্রাম সমিতি, জাকালকা, ক্লাব অনন্যা, আমরা বাঙালি, ছন্দের শ্রুত, সৃৃষ্টি, আরম্ব ফাউন্ডেশন, বরাকের আওয়াজ, আকসা, মধুরবন্দের পূর্ব শিলচর মাতৃভাষা শহিদ স্মরণ সমিতি, এআইডিএসও, এআইডিওয়াইও, কমসোমল, এআইএমএসএস সহ বহু সংস্থার প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা জানান শান্তিপুর নাহাদুল উলুম মাদ্রাসার পড়ুয়ারা।

ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক কেন্দ্র গান্ধী বাগে এই স্মরণ অনুষ্ঠান ১৯৬১ সালের আত্মত্যাগের এক মর্মস্পর্শী স্মৃতি হিসেবে ধরা দিল এবং ভাষাগত পরিচয় রক্ষায় সমাজের অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করল। এ ছাড়া দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মর্যাদা সহকারে শহিদ দিবস পালন করল গ্রাম শহরের বিভিন্ন সংগঠন। ছবি : বিশ্বজিৎ আচার্য ও দীপ দেব।