অক্টোবর থেকে মিলবে মসুরি ডাল, লবণ-চিনি সুলভ মূল্যের দোকানে : কৌশিক
বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৮ আগস্ট : শিলচরের এক অনুষ্ঠান ভবনে শুক্রবার খাদ্য, গণবন্টন ও উপভোক্তা বিভাগের তরফে রাজ্য সরকারের অভিলাষী প্রকল্প নিয়ে এক সচেতনতা সভার আয়োজন করা হয়। এদিন সুলভ মূল্যের দোকানদার ও সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিভাগীয় মন্ত্রী কৌশিক রায় সহ আমন্ত্রিত বিভিন্ন বক্তারা জানান, দেশের গরিব মানুষের জন্য সরকারের “অভিলাষী প্রকল্প” এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এই প্রকল্পের আওতায় রেশন কার্ড হিতাধিকারীরা ৫ কেজি চালের সঙ্গে এখন থেকে কার্ড প্রতি ১ কেজি করে মশুরি ডাল, চিনি ও লবন সুলভমূল্যে উপভোগ করতে পারবেন। রাজ্যে রেশন কার্ড থাকা ৭০ লক্ষ হিতাধিকারী কার্ড প্রতি ১কেজি মশুরি ডাল ৬৯ টাকা, চিনি কেজি প্রতি ৩৮ টাকা ও লবন ১০ টাকা করে প্রদান করার সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রকল্পকে সুন্দর ও সফলভাবে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন মন্ত্রী কৌশিক রায়।
সচেতনতা সভায় বিভাগের তরফে গত ৪ বছরের ক্ষতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি শতকরা ১০০ভাগ রেশন কার্ড আধারের সঙ্গে সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিভাগীয় আধিকারিকরা।হিতাধিকারীদের কাছে সামগ্রী বণ্টন ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে সরকার ইপিওএস মেশিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সুলভ মূল্যের দোকানদার ও সমবায় সমিতির কর্মকর্তাদের কমিশন ও ট্রান্সপোটেশন নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে কমিশন প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আত্মনির্ভরশীল ভারতের কথা চিন্তা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।সেই মতে মহিলাদের সুরক্ষা ও আত্মনির্ভরশীল করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বরাকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন বক্তারা। দেশ ও রাজ্যের গরিব মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আরও যোজনা হাতে নিয়েছে সরকার,যা আগামীতে বাস্তবায়ন করা হবে।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে সরকারের অভিলাষী প্রকল্প শুরু করা হবে। মানুষ এই বিশেষ সুবিধা ভোগ করতে পারলেই সরকারের প্রচেষ্টা সফল হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সভায় শিলচরের বিধায়ক দিপায়ণ চক্রবর্তী, জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব, ধলাইর বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস, জেলা বিজেপির সভাপতি রূপম সাহা, কাটিগড়ার বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদার ও বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী কৌশিক রায় সহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।