জাটিঙ্গায় অভিযান, চারটি ফোগল্যান্ড, টিপার, পাথর বাজেয়াপ্ত বন বিভাগের

বরাক তরঙ্গ, ৩০ এপ্রিল : কাছাড়ের পাথর বাণিজ্যে বেশ বড়সড় অভিযান চালাল বনবিভাগ। বিভাগের দক্ষিণ চিফ কনজারভেটর অব ফরেস্ট (সিসিএফ) রাজীব দাসের নেতৃত্বে জাটিঙ্গা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিভাগ চারটি ফোগল্যান্ড, বেশ কয়েকটি টিপার এবং পাচারের জন্য মজুত করা পাথর বাজেয়াপ্ত করেছে। সংবাদ লেখা অবধি বাজেয়াপ্ত পাথরের হিসেব চলছে।

বনবিভাগ সূত্রের খবর,আজ সিসিএফের নেতৃত্বে শিলচরের প্রোটেকশন রেঞ্জ,উধারবন্দ রেঞ্জ এবং মারুয়াছড়া বিট অফিসের কর্মীরা একযোগে জাটিঙ্গা নদীতে হানা দেন। তারা দেখতে পান যে নদী থেকে পাথর উত্তোলনের জন্য তিনটি ফোগল্যান্ড নদীতে নামানো হয়েছে। একটি ফোগল্যান্ড নদীর তীরে রয়েছে। এবং পাচারের জন্য বিশাল পরিমাণের পাথর মজুত করে রাখা হয়েছে। এগুলো শিলচরের দেব সিন্ডিকেটের। কাছাড়ের উত্তর-পূর্ব কোণের চিরি নদী থেকে শুরু করে বড়াইল ঘেঁষে জেলার পশ্চিমের বলেশ্বর কোয়ারি অবধি পাথর খাদানের এই মুহূর্তে একচেটিয়া কর্তৃত্ব রয়েছে দেব সিন্ডিকেটের হাতে।

বনবিভাগ সূত্রে বলা হয়েছে, জাটিঙ্গা পাথর কোয়ারি থেকে যে পরিমাণের পাথর উত্তোলন করার কথা তার চেয়ে কয়েক শত গুণ পাথর উত্তোলন করছে ওই সিন্ডিকেট। তাও ফগল্যান্ডের মত মেশিন ব্যবহার করে। যেখানে এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট অথরিটির সুস্পষ্ট বিধি রয়েছে যে পাথর উত্তোলনে মেশিন ব্যবহার করা যাবে না। এতে নদীর প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হয়। কিন্তু বনবিভাগের একাংশকে হাত করে প্রভাবশালী এই দেব সিন্ডিকেট যাচ্ছেতাই করছে। তাই দেরিতে হলেও বনবিভাগের এই অভিযানে এলাকার মানুষ বেশ সন্তুষ্টি ব্যক্ত করছেন।

এ ব্যাপারে সিসিএফ রাজীব দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আজকের অভিযানে বেশ কিছু গাড়ি ও পাথর বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আমি মারুয়াছড়ার বিট অফিসারকে তা বিধি মোতাবেক সিজ করার নির্দেশ দিয়েছি। ঠিক কতটা গাড়ি বা পাথর সিজ করা হয়েছে তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেয়ে যাব। তখনই সঠিক হিসেব দিতে পারব।’ অবশ্য একটি সূত্র বলছে, যে পদ্ধতিতে মেশিন ব্যবহার করে বেপরোয়াভাবে যে পাথর উত্তোলন চলছে তা নিয়ে উত্তর পূর্ব রেল উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে। কারণ এতে জাটিঙ্গা নদীর তীর বেয়ে যে রেললাইন অতিক্রম করেছে সেটির ক্ষতিসাধন করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

Author

Spread the News