কৃষকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার, পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে মামলা জিরিঘাট থানায়

কেএইচ লস্কর, লক্ষীপুর।
বরাক তরঙ্গ, ৭ জুলাই : ক্ষেতের পাশে জঙ্গলে কৃষকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। এ ঘটনায় লক্ষীপুরের উত্তর লালপানি গ্রামে।জানা যায়, সকালে ক্ষেতের জমিতে কৃষি কাজে গিয়ে আর বাড়ি ফিরেননি কৃষক এনাম উদ্দিন মজুমদার (৫৫)। খোঁজ করতে গিয়ে পাশের জঙ্গলে মৃতদেহ উদ্ধার হল তাঁর। ঘটনাটি শনিবার বিকেলে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে জিরিঘাট থানা এলাকার লালপানি লবনখালে। এনিয়ে পাঁচজন ব‍্যক্তিকে অভিযুক্ত করে জিরিঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন হত কৃষকের স্ত্রী আফলা বেগম।

আফলা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার সকালে তার স্বামী এনাম উদ্দিন মজুমদার কৃষিকাজের জন্য গিয়েছিলেন লবনখালে। দুপুর বারোটা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় তিনি খোঁজ খবর নিতে সেখানে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও স্বামীকে পাননি। প্রতিবেশী বাড়ির লক্ষী বকতা সহ কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করলে তারা জানান এনামকে দেখেননি। এও বলেন, “তোদের গরু হালিচারা আমরার অনেকটাই খেয়ে ফেলেছে। তাঁকে পেলে খুব বেশি মারব।” আফলা বেগম একথা শুনে তাদের বলেন মারামারি করবেন না।তোমাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেব। এসব কথা শুনে আফলা বেগম বাড়িতে চলে যান। বিকেল তিনটা পর্যন্ত এনাম উদ্দিন বাড়িতে না আসায় আবার এনামের স্ত্রী সন্তান বেরিয়ে পড়েন খোঁজ করতে। তাঁরা লবনখালে কৃষিজমির পাশ্ববর্তী এলাকায় সন্ধান চালিয়ে এনামের ব‍্যবহৃত গামছা পান। গামছার সূত্র ধরে সন্ধান চালিয়ে লক্ষী বকতার বাড়ির পাশের জঙ্গলে রক্তাক্ত অবস্থায় এনাম উদ্দিনের মৃতদেহ দেখতে পান স্ত্রী-সন্তানরা। মৃতের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। মাথায় মারাত্মক জখম। শরীর রক্তে রাঙা ছিল বলে জানিয়েছেন মৃতের স্ত্রী।

কৃষকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার, পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে মামলা জিরিঘাট থানায়

খবর দেওয়া হয় জিরিঘাট থানায়।জিরিঘাট পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর রবিবার মৃতদেহ পরিবারের কাছে সমঝে দেয় পুলিশ। মৃতদেহ সমাহিত করার পর রবিবার জিরিঘাট থানায় খুনের মামলা দায়ের করেন মৃতের স্ত্রী আফলা বেগম। এজাহারে পাঁচজন ব‍্যক্তিকে অভিযুক্ত করেন তিনি। জিরিঘাট পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি বলে জানা যায়।     

Spread the News
error: Content is protected !!