বিঘা বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করে বিপাকে বাগপুরের কৃষকরা, আত্মহত্যার হুমকি
বরাক তরঙ্গ, ৮ ফেব্রুয়ারি : গাছ হলেও ফলন হয়নি। বিঘা বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করে মাথায় হাত কয়েকজন কৃষকের। ক্ষতিপূরণ না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন রবিশস্য চাষে সুনাম অর্জন করা সোনাইয়ের নিয়াইরগ্রাম-বাগপুর জিপির এক কৃষক।
বাগপুর প্রথম খণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সাহানুর ইসলাম লস্কর জানান, তিনি ও তাঁর সম্পর্কিত ভাই আসাদ আহমেদ লস্কর তিন বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছিলেন। কিন্তু দিন শেষ হয়ে গেলেও ফলন আসেনি। ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এমনকি নিঃস্ব হয়ে যান। তিনি বলেন, ক্লোজ কোম্পানির জনি এফ ওয়ান ও সাকাতা কোম্পানির হোয়াইট ডেক্স নামের এই বীজ সোনাবাড়িঘাট বাজারের লস্কর সিডস স্টোর থেকে কিনেছিলেন। দোকানি উন্নত মানের বীজ বলেও ছিলেন। দোকানির কথামতো বুকভরা আশা নিয়ে বীজ নিয়ে চারা করে রোপন করেন। এরপর দেখা যায় গাছ হলেও গাছে ফল আসেনি অর্থাৎ ফুলকপি বের হয়নি। তখন তিনি দোকানিকে বিষয়টি জানান।
দোকানি কোম্পানির লোকেরা এসে ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন। এমনকি কোম্পানির লোক নিয়েও ক্ষেতের জমি দেখেও যান। কিন্তু মাস দুয়েক পার হয়ে গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এবং কোন ক্ষতিপূরণ দেয়নি। সাহানুর বলেন, তিন বিঘা জমিতে ফুলকপি ফলন না হওয়ায় প্রায় তিন লক্ষ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে তিনি ওই দোকানির বিরুদ্ধে মামলা করার পাশাপাশি জেলা প্রশাসন কৃষিমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অন্যতায় তিনি আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেবেন বলে হুমকি দেন। এ ছাড়া এলাকার কৃষক বদর উদ্দিন লস্কর, আইন উদ্দিন লস্কররা একই অভিযোগ করেন।

এ দিকে, দোকানির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সত্যি দুঃখজনক ঘটনা। ওই কৃষক তাঁর প্রতিবেশী। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছিলেন। কোম্পানির লোকদের সরেজমিনে নিয়ে দেখিয়ে ছিলেন। যাতে কৃষক ক্ষতিপূরণ পান সেজন্য কোম্পানির লোকদের যোগাযোগ করছিলেন। কিন্তু বর্তমানে কৃষক আইনি পথে চলে গেছেন। তিনি বলেন, মাত্র দশ প্যাকেট ওই কোম্পানির বীজ বিক্রি করে ছিলেন।

