বিমান দুর্ঘটনা : নিহত চিকিৎসকের পুরো পরিবার

দু’দিন আগেই চাকরি ছেড়েছিলেন মহিলা চিকিৎসক, লন্ডনে স্বামী-সন্তানদের নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের স্বপ্ন ছিল

১২ জুন : দেশ থেকে ব্রিটেনে গিয়ে স্থায়ীবাবে বসবাস করার স্বপ্ন দেখেছিলেন চিকিৎসক কোমি ব্যাস। স্বামীর সঙ্গে তিন সন্তানকে নিয়ে তাই যাচ্ছিলেন লন্ডনে। কিন্তু, ব্রিটেনগামী বিমান আকাশে উড়তেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। তাতেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু আগেই সব শেষ। নিহত হলেন চিকিৎসকের পরিবারের পাঁচ সদস্যই। শোকের ছায়া রাজস্থানের বাঁশওয়ারা শহরে।

চিকিৎসক কোমি ব্যালের স্বামী প্রতীক যোশী গত ছয় বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছিলেন। তিনি পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র। প্রতীক যোশী দীর্ঘদিন ধরে তাঁর স্ত্রী এবং তিন ছোট সন্তানেকে বিদেশে আনার জন্য চেষ্টা করছিলেন। চাইছিলেন সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ে উঠুক সেদেশেই। অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ণ হচ্ছিল। কিন্তু ভাগ্য বড়ই নির্মম।

ভারতে এসেছিলেন প্রতীক। ভেবেছিলেন স্ত্রী, সন্তানদের তিনিই পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবেন। যেমন বাবনা, তেমন কাজ। তাঁরা ব্রিটেনে যাওয়ার জন্য এদিন আমেদাবাদ থেকে উঠেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটিতে।

বিমান দুর্ঘটনা : নিহত চিকিৎসকের পুরো পরিবার

চিকিৎসা ডাঃ কোমি ব্যাস ব্রিটেনে যাওয়ার জন্য দুই দিন আগেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন রাজস্থানের সংস্থায়। কিন্তু বিমান গুর্ঘটনার পর আর সেসব কাজে এল না। চিকিৎসকদের পরিবারের সকলেই এখন চির ঘুমের দেশে।

স্থানীয়রা এই দম্পতিকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে স্মরণ করেছেন। তাদের মতে, উভয়ই উচ্চ শিক্ষিত, তাদের পেশা ও সন্তানদের প্রতি গভীরভাবে নিবেদিতপ্রাণ। তাদের মৃত্যুর খবরে বাঁশওয়ারা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং প্রাক্তন সহকর্মীরা অবিশ্বাস্যভাবে ভেঙে পড়েছেন।

জোশী পরিবার ছাড়াও, উদয়পুরের চার বাসিন্দাও দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন, যার মধ্যে শুভ মোদি (২৪) এবং শাগুন মোদি (২২) রয়েছেন, বিখ্যাত মার্বেল ব্যবসায়ী পিঙ্কু মোদীর সন্তান।

বিমান দুর্ঘটনা : নিহত চিকিৎসকের পুরো পরিবার

নিহতদের মধ্যে ছিলেন উদয়পুর জেলার রুন্দেদা গ্রামের বাসিন্দা ভারদি চাঁদ মেনারিয়া এবং প্রকাশ মেনারিয়া এবং নারী শিক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পরিচিত বালোত্রার ২৭ বছর বয়সী খুশবু রাজপুরোহিত।
খবর : আজকাল ডট ইন।

Author

Spread the News