দশদিন পরও জীবিত উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা ৪৪ হাজারে

১৭ ফেব্রুয়ারি : এক দিকে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, আরেক দিকে অলৌকিক ভাবে দশদিন পরও জীবিত উদ্ধার করছে উদ্ধারকারীরা।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজারে পৌঁছাচ্ছে। আহত লাখেরও বেশি মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৮৫৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কের ৩৮ হাজার ৪৪ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮১৪ জন।  এদিকে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশের ৪০ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের ১২ দিন অতিক্রম করলেও চলছে উদ্ধার কাজ। তবে, অলৌকিকভাবে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনও জীবিত প্রাণ খুঁজে পাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার তুরস্ক থেকে অ্যালেইনা ওলমেজ নামের ১৭ বছরের এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কাহরামানমারাশ শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর দ্রুত তাকে হাসপাতালে  ভর্তি করা হয়েছে। একই দিনে আলেয়েনা ওলমেজ নামে ১৭ বছরের এক কিশোরী এবং মেইসাম ও আলি নামে দুই সন্তানসহ ইলা নামে এক গৃহবধূকেও উদ্ধার করা হয়েছে। অ্যালেইনাকে উদ্ধারকারী দলের সদস্য আলি আকদোগান এএফপিকে বলেন, ‘মেয়েটি তুলনামূলকভাবে সুস্থ আছে, তবে শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল। গত এক সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় কাজ করছি আমরা। প্রতিনিয়ত কান পেতে রাখছি ধ্বংসস্তূপ থেকে কোনো আওয়াজ আসে কিনা বোঝার জন্য।’

দশদিন পরও জীবিত উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা ৪৪ হাজারে

অ্যালেইনাকে উদ্ধারের ভিডিওচিত্র ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে তুরস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে দেখা গেছে, ধ্বংস্তূপ থেকে অ্যালেইনাকে উদ্ধারের পর আনন্দে উদ্ধারকর্মীদের জড়িয়ে ধরেছেন তার চাচা। বুধবারও তুরস্কের কাহরামানমারা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল মেরিক ইমামোগলু নামের এক নারীকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি সংগৃহিত।

Author

Spread the News