দুর্গাপূজা : বহিরঙ্গের চাকচিক্যে অন্তরের ভক্তি ভাব যেন ম্লান না হয়

দুর্গাপূজা : বহিরঙ্গের চাকচিক্যে অন্তরের ভক্তি ভাব যেন ম্লান না হয়

।। প্রদীপ দত্তরায় ।।
(লেখক প্রাক্তন ছাত্রনেতা ও গৌহাটি হাইকোর্টের আইনজীবী)
২৭ সেপ্টেম্বর : বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। এককালে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে যে উৎসাহ উদ্দীপনা তা অনেকটাই বর্তমান সময়ে ফিকে হয়ে এসেছে। প্রাচীনকালে দুর্গা মায়ের আরাধনায় সাত্ত্বিক ভাবনা বজায় রাখা হতো। আগেকার দিনে বিদেশে যারা চাকরি-বাকরি করতেন তারা পুজোর কদিন ছুটিতে বাড়ি ফিরে আসতেন। গ্রাম বা সেই নির্দিষ্ট শহরে নিজেদের আত্মীয় পরিজন ছাড়া পরিচিত মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করে পূজার আনন্দটা পুরোপুরি উপভোগ করতেন। মহিলাদের মধ্যে এই পুজোর সময় তৎপরতাটা থাকতো অন্যরকম। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করার জন্য তাদের কাজের শেষ ছিল না। এবং এর সঙ্গে দুর্গা মায়ের আরাধনার জন্য তাদের স্নেহপরায়ন মনে অন্যরকম ভাবাবেগ থাকতো। দুর্গা মায়ের আগমন ছিল ঘরের মেয়ে উমার বাপের বাড়িতে আসার মত আনন্দের। আত্মীয় পরিজন বাড়িতে বেড়াতে এলে যেমন আনন্দ হয় তেমনি আনন্দে কাটতো দুর্গাপূজার দিনগুলি। প্রায় সব পূজা মণ্ডপে শাস্ত্র মতে সাত্বিক উপায়ে এ পূজার আয়োজন করা হতো। ভক্তিতে অবিচল থাকতো মানুষ। দেবীর আশীর্বাদ লাভ জীবনের পাথেয় ভোগ করে তোলার জন্য কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করতো সবাই। পূজা মণ্ডপগুলিতে উশৃংখলতার কোনও স্থান ছিল না। এই প্রজন্ম যথেষ্ট শিষ্টাচারি ছিল।  উৎসবে নানাভাবে যুক্ত থাকতেন গ্রামের প্রতিটি পেশার প্রতিটি শ্রেণির মানুষ। উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা হত আবাল বৃদ্ধ বণিতা। মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হত প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে। কলাগাছ, আমপাতা ইত্যাদি মণ্ডপগুলিতে শোভা পেত। কখনো রঙিন কাগজের ঝালোট টাঙিয়ে মন্দিরের চারপাশে সৌন্দর্য আনা হতো। মণ্ডপ শয্যায় তখন ছিল না কোনও অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা। তখনকার আমলে কেবল বাড়ির পুজোয় নয় বারোয়ারী পুজোগুলোতেও একই দৃশ্য বিরাজমান ছিল। পুজোর দিনগুলিতে আনন্দ উপভোগ করার মেজাজটা ছিল অকৃত্রিম। হৃদয় থেকে মানুষ একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা করত। দশমীতে মূর্তি বিসর্জনের পর মন্ডপে ফিরে এসে নারায়ণ পূজায় শান্তি জল গ্রহণ করে একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করত। বিজয়া দশমীর এই শুভেচ্ছা বিনিময় সপ্তাহ জুড়েই চলত। সে দিনগুলো যেন এখন স্বপ্নের মত অতীতের ইতিহাস হয়ে থেকে গেছে। আগের জমানায় ষষ্ঠীর সন্ধ্যা থেকে দশমীর বিসর্জন পর্যন্ত পূজা মন্ডপে সারাক্ষণ যে জমজমাট অবস্থা দেখা যেত তাও এখন ক্রমান্বয়ে কমে এসেছে। পুজোকে কেন্দ্র করে নতুন কাপড়চোপড় কেনা আগেও ছিল এখনো আছে তবে অবস্থার পরিবর্তনে এর রূপ বদল হয়ে গেছে। এখন আর এলাকার দোকান থেকে নয় অনলাইনে বহুজাতিক সংস্থা থেকে বস্ত্র কেনার চল শুরু হয়ে গেছে। এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

দুর্গাপূজার আসরে ঢাক একটি অপরিহার্য অঙ্গ ছিল। ঢাকের বাদনে বোঝা যেত যে একটা উৎসব শুরু হয়েছে। ঢাকের সঙ্গে ভালো ঢাকি নির্বাচন করা ছিল তখনকার সময়ে সবচেয়ে কঠিন কাজ। তখনকার সময়ে ঢাকি নির্বাচনে প্রতিযোগিতা লেগে যেত বারোয়ারি পূজা কমিটিগুলোর মধ্যে। কে কত ভালো ঢাকি আনতে পারবে সেটাই থাকতো তখনকার দিনের লক্ষ্য। অনেক তাল জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ তখনকার সময় ঢাকির কাছ থেকে কাঠিগুলো নিয়ে নিজেরাও ঢাক বাজাতে লেগে যেতেন। যারা এই ঢাকের বাদন শুনতো তারা বাহবা করত। ঢাকিকে দেওয়া হতো নতুন ধুতি। সেই ধুতি পরেই তাকে ঢাক বাজাতে হতো। ঢাকের মধ্যে লাগানো থাকতো পালক। ঢাকিরা ঢাক  নেচে নেচেই  বাজাতো। অনেকেই ঢাকের বাদন শুনে খুশি হয়ে ঢাকির বুকে সেফটিপিন দিয়ে উপহার হিসেবে দশ টাকা, কুড়ি টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা গেঁথে দিতেন। ঢাকের সঙ্গে থাকতো একটা ঢোল এবং কাঁসর। সন্ধ্যায়  আরতির সময় বা আরতি প্রতিযোগিতাও কখনও কখনও অনুষ্ঠিত হতো তাতে ঢাকির ঢাক বাজানোর নৈপুণ্য ফুটে উঠত। কত রকম তালের বাহার ঢাকের শব্দে লক্ষ্য করা যেত। কে কত ভালো আরতি করতে পারে তা দেখার জন্য মন্ডপে ভিড় জমে যেত। এই সন্ধ্যা আরতি পূজার একটি অন্যতম আকর্ষণ ছিল। দশমীতে দেবী বিসর্জনের পর ঢাকিদেরও মন বিষন্ন হয়ে উঠতো। দেবীকে বিদায় জানানোর যে বেদনা তা ঢাকিদের মধ্যেও ফুটে উঠত। পরের বছর দেবীকে আবাহনের দিন গোনা শুরু হতো ভাসান ঘাট থেকে। ঢাকিরাও অপেক্ষার দিনগুলো শুরু করে দিত সেদিন থেকেই।

এককালে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে সাহিত্য সংস্কৃতির প্রসার ঘটতে দেখা যেত। বিভিন্ন প্রকাশন সংস্থা দুর্গাপূজার সময় তাদের বিশেষ পূজা সংখ্যা বের করত। বিভিন্ন সংবাদপত্রগুলিও পৃথকভাবে পূজা সংখ্যা বের করে থাকে। পূজা সংখ্যার জন্য লেখকদের কাছে তিন মাস আগে থেকেই তাগদা দেওয়া শুরু হয়ে যেত। দুর্গাপূজার অনেক আগেই এই বিশেষ সংখ্যা বিপনীতে এসে যেত এবং পাঠকরা সেসব কিনে নিতেন। কেউ কেউ একাধিক পূজা সংখ্যা সংগ্রহ করতেন এবং পূজার দিনগুলিতে সেগুলি পড়ে সময় কাটাতেন। এখনো নিয়মিত পূজা সংখ্যা বের হয় ঠিকই তবে পাঠকের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। পুরনো প্রজন্মের যে মানুষগুলো এখনো বেঁচে আছেন তাদের কাছেই এই পূজা সংখ্যা অমূল্য সম্পদ। কিন্তু নিউ জেনারেশন বা নতুন প্রজন্মের কাছে এর খুব একটা কদর নেই। তবে এর মধ্যে কিছু ব্যতিক্রমও আছে। পূজাকে কেন্দ্র করে একসময় গ্রামোফোন ইন্ডিয়া বা এইচআইভি থেকে গানের রেকর্ড বের হতো। প্রখ্যাত শিল্পীরা এই সময় ভক্তিমূলক বা আধুনিক গান রেকর্ড করতেন। এখন গ্রামোফোন অচল হয়ে গেছে,  রেকর্ডেও উঠে গেছে। তবে পুজোয় নতুন গান বাঁধার চল এখনও রয়েছে সেগুলি আধুনিক স্টুডিওতে ডিজিটাল মাধ্যমে রেকর্ডিং করা হয়ে থাকে। কিছু কিছু গান আগমনীর এবং কিছু কিছু সাধারণ আধুনিক গান। সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সংস্কৃতি কর্মীদের এই নিরলস চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু কিছু পূজা মণ্ডপে আজকাল চটুল গান পরিবেশিত হয়ে থাকে। সংস্কৃতির এই পতন অনেকেই পীড়াদায়ক হিসেবে দেখে থাকেন। এর ফলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাহিত্য সংস্কৃতি বা সমাজ সচেতন সংগঠনকে পূজার সময় নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রেখে সংস্কৃতি রক্ষার আবেদন জানানো হয়ে থাকে। সব পূজা কমিটিগুলো যদি সংস্কৃতির রক্ষায় সচেতন থাকতো তাহলে এই আবেদন জানানোর কোনও প্রয়োজন পড়তো না।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় পূজা পার্বণ আয়োজনের পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ,  আধুনিকতা আমাদের জনজীবনের সব ক্ষেত্রেই, সবকিছুর উপরেই প্রভাব ফেলে থাকে। বর্তমান সময়েও এর প্রভাব ব্যাপক আকারে পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে বারোয়ারী পূজোর বাড় বাড়ন্ত এই উৎসবকে অন্য মোড়ে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। বারোয়ারি পূজোর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। দেবীর মূর্তি এখন একচালার পরিবর্তে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। কোনও কোনও পূজা প্যান্ডেলে আধুনিক মূর্তির পাশাপাশি শাস্ত্রীয় মূর্তি স্থাপন করা হয়। না হলে শাস্ত্রীয় বিধান মতে পূজা করা যায় না। কেবল কি মূর্তি তৈরিতেই আধুনিক শৈলির প্রদর্শন তা কিন্তু নয়। মণ্ডপসজ্জা আলোর রোশনাই সবকিছুতেই কে কাকে টেক্কা দেবে এ নিয়ে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা। দর্শনার্থীদের টানতে মন্ডপ শয্যায় চমক সৃষ্টি করা এবং আলোক সজ্জায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া পূজা কমিটিগুলির পরিকল্পনার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে পুজো কমিটির মন্ডপে জাঁকজমক যত দর্শনার্থীদের সংখ্যাও তত। আজকাল দেখা যায় মণ্ডপ সজ্জা দেখতে মানুষের ঢল নামে কিন্তু এর মধ্যে ভক্তি শ্রদ্ধার বিষয়টা গৌণ হয়ে পড়ে। কারণ মন্ডপের সামনে পর্যন্ত জুতো পায়ে সবাই অবলীলায় ক্রমে ঢুকে যান। দেবীর পূজার জায়গাটুকু বাদ দিয়ে গর্ভবৃহের বাকি যে জায়গা তৈরি করা হয় মন্ডপে সেটা হয়ে দাঁড়ায় এখন নিজস্বী (সেলফি ) পয়েন্ট। নতুন প্রজন্ম দেবী মূর্তির সামনে নিজস্ব তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এসব দেখে কখনো মনে হতেই পারে এটা যেন এক ধরনের ফ্যাশন শো – র প্যারেড চলছে। প্রতিমার দিকে পিছন দিয়ে দাঁড়ানো স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী প্রতিকূল। কিন্তু আজকাল এই শাস্ত্রের নিয়ম কজন মানেন বা কজন জানেন। পূজাকে কেন্দ্র করে আজকাল আয়োজন করা হয় কার্নিভাল। এক বিচিত্র সংস্কৃতি আমদানি করার চেষ্টা। পশ্চিমবঙ্গে তো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এটা করা হয়ে থাকে।

বর্তমান সময়ে দুর্গাপুজো সবচেয়ে বড় ভয়ানক অসুবিধা জন্য দিক হচ্ছে ডিজে বাজনা। বিসর্জনের সময় পূজা কমিটিগুলি ডিজে বাজনা নিয়ে সড়কে নাচতে নাচতে ঘাটের দিকে এগিয়ে যায়। কেবল একটা যদি ডিজে বাজনা হত তাহলে নাহয় শব্দের অত্যাচার কিছু কম হতো।  কিন্তু প্রতিটি পূজা কমিটি একের পর এক ডিজে লাগিয়ে লাইনে দাঁড়ানো থাকে ফলে বিসর্জন ঘাটে যাওয়ার রাস্তার পাশে যে শব্দ দানবের সৃষ্টি হয় তাতে অনেক সুস্থ মানুষেরও বুক ধরফর করতে থাকে। বিসর্জনের গাড়ির সঙ্গে যে ডিজে গাড়ি থাকে তাতে এত বেশি সাউন্ড বক্স লাগানো থাকে যা শুনে মনে হয় শব্দ দানবের দাপাদাপি চলছে। যাদের হৃদ যন্ত্রের দুর্বলতা আছে তারা যদি এই শব্দ শুনেন তাহলে তাদের হৃদপিণ্ড বিকল হয়ে যাওয়াও অসম্ভব নয়। এই ডিজে সংস্কৃতির আমদানি বর্তমান সময়ে অধিকাংশ মানুষের অপছন্দ হলেও পূজা কমিটিগুলি এতে ভ্রুক্ষেপ করে না। ধর্মীয় কারণ বলে প্রশাসনের তরফ থেকেও এ নিয়ে খুব একটা কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। এই ডিজে নিয়ে যারা বিসর্জনে বের হয় তারা প্রায়ই সন্ধ্যার পর বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত নাচানাচির পর দেবী মূর্তি বিসর্জন দিয়ে থাকেন। সন্ধ্যার পর মূর্তি নিয়ে বের হওয়ার কারণ হলো ডিজের সঙ্গে যে আলোর রোশনাই থাকে সেগুলো মানুষকে দেখানো। রাতে মূর্তি বিসর্জন করায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও কমিটিগুলি তাতে খুব একটা ভ্রুক্ষেপ করে না। অথচ আগের জমানায় দিনের আলো থাকতে থাকতেই বিসর্জনের পাঠ সাঙ্গ হয়ে যেত। এই ডিজে সংস্কৃতির পাশাপাশি কিছু কিছু পূজা কমিটি  নিজস্ব সংস্কৃতি মেনে সুশৃংখলভাবে বিসর্জন যাত্রায় অংশ নিয়ে থাকে। তবে তা ব্যতিক্রম বলেই ধরে নিতে হবে। ডিজে বাজনা পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে ভয়ংকর। একে দমন করতে না পারলে জনসাস্থ্যের ভীষণ ক্ষতি হয় যেতে পারে।

সবশেষে এটাই বলতে চাই বর্তমান সময়ে পুজো পার্বণের উৎসাহ টিকে থাকলেও এর মধ্যে বাহ্যিক আনুষ্ঠানিকতা ভেতরের ভাব গম্ভীর মনোবৃত্তিকে নষ্ট করে দিচ্ছে। বর্তমান সময়ে পূজা মণ্ডপে সবকিছুই আছে কিন্তু যা নেই তা হল আগের মত ভক্তিভাব। আর এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে পূজা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। যারা আস্তিক মানুষ তাদের কাছে দেবীর আশীর্বাদ লাভটাই এ পূজার মূল লক্ষ্য। নাস্তিকরা তো পূজা থেকে সব সময় দূরেই থাকে। কিন্তু আস্তিকদের মনেও যদি আজকাল বহিরঙ্গের লোক দেখানোটা প্রধান হয়ে পড়ে এবং পূজার প্রতি নিষ্ঠা কমে আসে তাহলে তা সমাজের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে হওয়াটা কঠিন। সময়ের স্রোতে অনেক কিছুই ভেসে যায়, পাল্টে যায়। কিন্তু তা বলে পূজা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্যটাই যদি পূরণ না হয় তাহলে লোক দেখানোর জন্য এই পূজা আয়োজন এর অর্থটা কী? সমাজের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজনকে ভাবতে হবে , দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে আমাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে যে অধঃপতন ঘটছে এবং আমাদের মধ্যে যে বিকৃত চিন্তার উদয় হচ্ছে তা প্রতিরোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতের জন্য এটা আরো বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। যা আমাদের কখনোই কাম্য নয়। এই পূজা কেবলমাত্র দেবীর আরাধনায় নয় এটাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে যে উৎসবের আমেজ তা সমাজের জন্য মঙ্গলজনক। এর যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে বিষয়ে প্রতিটি মানুষেরই যত্নবান থাকা উচিত।
(মতামত লেখকের ব্যক্তিগত)

Spread the News
error: Content is protected !!