পুজোর আগেই শিলচর শহরে ধুন্ধুমার কাণ্ড, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ

বরাক তরঙ্গ, ৩০ সেপ্টেম্বর : পুজোর আগেই শিলচর শহরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল। দাবি মতো চাঁদা না দেওয়ায় দোকানে হামলা করল পূজা কমিটি এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেন অম্বিকাপট্টি পয়েন্টে থাকা এক চায়ের দোকান মালিক। এ নিয়ে সদর থানায় এক মামলাও দায়ের করেন দোকানের মালিক। তবে দোকান মালিকের অভিযোগ খণ্ডন করলেন দক্ষিণ অম্বিকাপুর শ্মশান রোড দুর্গাপূজা কমিটির কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান এই ঘটনার সঙ্গে চাঁদার কোন মিল নেই। 

রবিবার সন্ধ্যা রাতে এই মারপিটের ঘটনাটি ঘটেছে অম্বিকাপট্টি পয়েন্টে। উত্তেজিত কিছু যুবক চায়ের দোকানে ভাঙচুর সহ মারপিট করে। এ ঘটনার পর সদর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেন। চায়ের দোকানের মালিক বলেন শুক্রবার পূজা কমিটির কর্মকর্তারা এসে তার কাছে ৫০০০ টাকা দাবি করেন। দাবি মত টাকা না দেওয়াই তার ওপর আক্রমণ করে সদস্যরা। তার দোকানে ভাঙচুর সহ মহিলা গ্রাহকের উপর হামলা করেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। বাইকও ভাঙচুর করা হয়। এরপর সমস্ত বিষয় তুলে ধরে সদর থানায় একটি অভিযোগ নামা দাখিল করেছেন।

পুজোর আগেই শিলচর শহরে ধুন্ধুমার কাণ্ড, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ

এদিকে পূজা কমিটির কর্মকর্তা অভি ধর জানান, রবিবার সন্ধ্যা রাতের ঘটনার সঙ্গে চাঁদার কোন মিল নেই। তিনি বলেন, চানমারি থেকে শনিবার সন্ধ্যায় তারা মূর্তি নিয়ে আসছিলেন।  উল্লাসকর দত্ত রোড ও প্রেমতলা পয়েন্ট হয়ে হয়ে তিনটি লরি দিয়ে প্রতিমা গুলো মণ্ডপে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেসময় অম্বিকাপট্টি পয়েন্টে আসার পর যানজটের সৃষ্টি হলে পূজা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা  বাইক ও ই-রিকসা ইত্যাদি সরানোর সময় এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়। ওই চায়ের দোকানের সামনে একটি বাইক সরাতে বললে দোকান মালিক ক্ষেপে উঠেন তিনি বলেন বাইকটি তার গ্রাহকের তিনি সরাতে পারবেন না। তখনই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দোকান মালিক ও সদস্যরা। তখন তিনি দোকান থেকে গিয়ে রড এনে আক্রমণ করতে উদ্যত হন। এরপরই ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনাটি ঘটেছে। ধরবাবু বলেন, চাঁদার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও মিল নেই। কেননা তাদের কাছ থেকে ন্যূনতম চাঁদা চাওয়া হয়েছে এবং ওই যুবক অর্থাৎ দোকান মালিক ৭০০ টাকা দেবেন বলে খাতায় নাম লিখিয়েছেন। সেই খাতাও তিনি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরলেন।

পুজোর আগেই শিলচর শহরে ধুন্ধুমার কাণ্ড, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ

তিনি আরও বলেন, ওই স্থানে অবৈধভাবে বিভিন্ন ধরনের পসরা সাজিয়ে এবং ই-রিকশা অবৈধভাবে পার্কিং করে প্রতিদিন কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে সে কোথাও ট্রাফিক পুলিশের অজানা নয়। প্রয়োজনে পূজা কমিটির পক্ষ থেকে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

পুজোর আগেই শিলচর শহরে ধুন্ধুমার কাণ্ড, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ

Author

Spread the News