ধোয়ারবন্দ, ধলাই, মনিয়ারখাল ও লায়ালপুরে নির্বচনীসভা এসইউসিআইর
বরাক তরঙ্গ, ৭ নভেম্বর : ধলাই উপনির্বাচনে এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের মনোনীত প্রার্থী গৌরচন্দ্র দাস এর সমর্থনে বৃহস্পতিবার ধোয়ারবন্দ বাজার, ধলাই বাজার ও মনিয়ারখাল বাজার ও লায়ালপুর বাজারে পথসভার আয়োজন করা হয়। ধোয়ারবন্দ বাজারে অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য ময়ূখ ভট্টাচার্য, জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য মাধব ঘোষ, ধলাই পথসভায় বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য অরুণাংশু ভট্টাচার্য, দলের মনোনীত প্রার্থী গৌর চন্দ্র দাস ও সঞ্চিতা শুক্ল।
এ দিকে, মনিয়ারখাল বাজারে বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য ও কাছাড় জেলা সম্পাদক ভবতোষ চক্রবর্তী, দলের জেলা কমিটির প্রবীণ সদস্য প্রাক্তন শিক্ষক শ্যামদেও কুর্মী প্রমুখ। দলের মনোনীত প্রার্থী গৌরচন্দ্র দাসের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা বলেন ধলাই উপনির্বাচনে এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের প্রার্থীই একমাত্র বামপন্থী দলের প্রার্থী। বাকি দু’জন কংগ্রেস ও বিজেপি দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে লড়াই করেছেন পুঁজিপতিদের টাকায়। কাজেই প্রার্থী অনেক হলেও পক্ষ দুটো একদিকে ধনীক শ্রেণীর স্বার্থরক্ষাকারী কংগ্রেস ও বিজেপি অন্যদিকে শ্রমিক-কৃষক শ্রেণীর স্বার্থরক্ষাকারী একমাত্র শক্তি এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দল। ফলে জনগণ নির্বাচনে কংগ্রেস ও বিজেপি দলের প্রার্থীর মধ্যে যিনি জিতবেন তিনি তো ধনীদের প্রতিনিধিত্ব করবে।
বক্তারা বলেন, জনগণ পুঁজিপতিদের শাসন শোষনে নিস্বঃ, রিক্ত হতে হতে আজ হতাশ হয়ে গেছেন। এর সুযোগে আজ ভোটবাজ দলগুলো মানুষের সাথে প্রতারণা করে চলেছে। তারা বলেন বরাক উপত্যকার মধ্যে অন্যতম পিছিয়ে পড়া বিধানসভা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে ধলাই। এর কৃতিত্ব কংগ্রেস ও বিজেপি দলের নির্বাচিত বিধায়ক ও মন্ত্রীদের। আজ ধলাই বিধানসভা কেন্দ্রের বেশিরভাগ রাস্তাঘাট জরাজীর্ণ, সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা বলতে প্রায় কিছুই নেই, ঘরে ঘরে বেকার যুবক, যুবতীরা হতাশায় ভুগছে, শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ না পেয়ে ছুটে যাচ্ছে ভিন রাজ্যে সেখানেও অতি অল্প বেতনে দৈনিক ১২/১৪ ঘন্টা পরিশ্রম করতে বাধ্য হচ্ছে। এই অবস্থায় যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এতে জনগণ প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ পেয়েছেন। কংগ্রেস ও বিজেপি দলের মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দেওয়া মানে জনগণের উপর যে শোষণ অত্যাচার চলছে তাকে সমর্থন করা, অন্যদিকে এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অর্থ হচ্ছে এই শোষনের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করা। প্রতিটি সভায় বক্তারা দলের মনোনীত প্রার্থী গৌরচন্দ্র দাসকে আগামী ১৩ নভেম্বর ভোট দিয়ে জয়ী করতে আহ্বান জানান।