ধলেশ্বরী বিপদসীমার উপরে, বন্যার পদধ্বনিতে
এবি লস্কর, লালা।
বরাক তরঙ্গ, ২৮ মে : দু’দিনের বিরামহীন বর্ষণের ফলে ধলেশ্বরী নদীতে বাড়ছে জল। রাত ৮ টায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল। ঘাড়মুড়াতে ২৮.৫ মিটার বিপদসীমা থাকলে বর্তমানে তা দাড়িয়েছে ৩০.৪০ মিটার। নদী তীরবর্তী অঞ্চল গুলিতে বন্যার পদধ্বনি। তীরবর্তী এলাকাগুলিতে আতংকময় পরিবেশ বিরাজ করছে। পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরামে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ধলেশ্বরী নদীতে এর বিরাট প্রভাব পড়েছে। তবে কাটাখাল এবং অন্নপূর্ণা ঘাটে এখন জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম না করলে রাত পোহাতে পোহাতে কাটাখালে জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। গ্রামাঞ্চলের নালা, খাল উপচে রাস্তাঘাট ডুবিয়ে দিয়েছে স্থানে স্থানে। কাটলিছড়া রাজস্ব চক্রের সোনাছড়া বাগানের বেদবস্তী ও সোনাছড়া বস্তীতে বহু বাড়িতে জল প্রবেশ করেছে মঙ্গলবার বিকালে। সন্ধ্যার পর বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় বসত বাড়িতে জল কমা শুরু হয়েছে। যেসব স্থানে ভূমি ধসের সম্ভবনা রয়েছে সেসব স্থানে রিলিফ ক্যাম্পের প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।
নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলিতে আতঙ্কময় পরিবেশ____
সোনাছড়া বাগানের ৪৬৯ নং সোনাছড়া হিন্দি এল পি স্কুল ও ৭৪৪ নং সোনাছড়া এল পি স্কুলে রিলিফ ক্যাম্প বানানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে বৃষ্টির জলে কৃত্তিম বানের সৃষ্টি হয়েছে কাটলিছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রতি বছর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বৃষ্টির জল দুর্ভোগ বাড়ায়। এজন্য বিহীত ব্যবস্তা নেবার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিচালন সমিতির সভায় সদস্যরা সরব হন। সমিতির চেয়ারম্যান সার্কল অফিসার থাকলেও জ্বলন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে মঙ্গলবার দুপুরে কাটলিছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে বৃষ্টির জমা জল থইথই করছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মুল ভবনের পিছনে থাকা ভবনের প্রবেশ পথে হাটু জল। এই জলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবর্জনা ভেসে থাকতে দেখা যায়। এতে স্পস্ট হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবনের গা ঘেষা নালা জলের তলায় চলে গেছে। ফলে নালার নোংরা আবর্জনা ভেসে উঠেছে।
তবে স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন দুদিন লাগাতার বৃষ্টি হলে আগামী কাল থেকে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডেলিভারি রুমের সঙ্গে যুক্ত এক চালের করিডোর দিয়ে রোগীদের বেডরুম, বিপিএম, বিএম সি, একাউন্টেন্ট কক্ষে যাবার পাকা পথ জলের তলায় চলে গেছে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই ভবনের বাইরে আলাদা ভাবে থাকা জন্মমৃত্যুর সার্টিফিকেট, এক্সরে মেশিন চালিত হবার রুমে যাবার সামনের অংশও জলের নীচে। কাটলিছড়া উন্নয়ন খণ্ডের ধলাই মলাই, সাহাবাদ, আপিন রংপুর, হরিশনগর জাপির বহু গ্রামীণ সড়ক জলের নীচে রয়েছে।