কৃষক সুরক্ষায় জোর কদমে এগোচ্ছে কাজ কাছাড়ে : ডিসি মৃদুল যাদব
জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৯ মে : কৃষকদের জন্য একটি দৃঢ় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে এবং ফসল বীমা সচেতনতা বাড়াতে এক দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কাছাড় জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জেলা কমিশনার মৃদুল যাদব, আইএএস-এর সভাপতিত্বে জেলা স্তরের মনিটরিং কমিটির একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় জেলা কমিশনারের দপ্তরের নতুন সম্মেলন কক্ষে। বৈঠকে প্রধানত বর্তমান খরিফ মরসুমে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায় কৃষক নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়।
বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে জেলা কমিশনার মৃদুল যাদব সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগ ও অংশীদার সংস্থাগুলিকে আগামী ৩১ জুলাই, ২০২৫-র মধ্যে কমপক্ষে ২৭,২৫০ জন কৃষককে স্কিমের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ঐক্যবদ্ধ ও সময়োপযোগী উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, প্রাকৃতিক অনিশ্চয়তার মোকাবিলায় কৃষক সমাজের জন্য ফসল বীমা একটি অপরিহার্য হাতিয়ার, যা কেবল ক্ষতির ভার কমায় না, বরং কৃষিক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে।
এই বৈঠকে ২০২৫–২৬ অর্থবছরের রবি মরসুমের উপভোক্তা তালিকাও আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হয়, যা স্কিমটির স্বচ্ছ ও ফলপ্রসূ বাস্তবায়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হয়েছে। বৈঠকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হিসেবে জানানো হয়, চলতি খরিফ মরসুমে যারা সালি ধান চাষের জন্য কিষান ক্রেডিট কার্ড -এর মাধ্যমে ঋণ নিয়েছেন, তাদের সকলকেই বাধ্যতামূলকভাবে স্কিমে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই প্রক্রিয়া ব্যাংকগুলিকে কঠোরভাবে স্কিমের নির্ধারিত নির্দেশিকা মেনে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে যাতে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ কৃষক গোষ্ঠীগুলি সুরক্ষা পায়।

বৈঠকে বহু বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন, যা স্কিমটির বহু-পক্ষীয় চরিত্রকেই স্পষ্ট করে। উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাগ্রিকালচারাল অফিসার ড. এআর আহমেদ, সাব-ডিভিশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল অফিসার ও জেলার নোডাল অফিসার হিতেশ ডেকা, ডেপুটি ডিরেক্টর (মার্কেটিং), নাবার্ড রবি শঙ্কর এবং লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, কাছাড় দিনেশ গুপ্ত। বীমা সংস্থা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্টেট ইনচার্জ, বাজাজ অ্যালিয়াঞ্জ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড দীপক কুমার এবং পলিসিবাজার-এর প্রতিনিধি লামাল ডেকা। কমন সার্ভিস সেন্টার এর প্রতিনিধিরাও এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয় যে, কৃষকদের আর্থ-সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং ফসল বীমা যোজনার সময়োপযোগী ও সর্বজনীন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রশাসন অটল ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ও রূপরেখার মাধ্যমে কাছাড় জেলা খুব শীঘ্রই রাজ্যের কৃষি নীতির সফল বাস্তবায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে।