সাংস্কৃতিক মহাসংগ্রাম অনুষ্ঠানের সূচনা সোনাইয়ে

বরাক তরঙ্গ, ১৪ ডিসেম্বর : অসম সরকারের সংস্কৃতিক ও পরিক্রমা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত দু’দিন ব্যাপি সোনাই ব্লক ভিত্তিক সাংস্কৃতিক মহাসংগ্রাম অনুষ্ঠানের সূচনা করা হল বৃহস্পতিবার। সোনাই মাল্টিপারপাস ভবনে প্রদীপ প্রজ্জলন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন কাছাড় জেলা বিজেপির সভাপতি বিমলেন্দু  রায়। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি জেলা উপসভাপতি অমিয়কান্তি দাস, কাছাড় জেলা পরিষদের সভাপতি অমিতাভ রায়, জেলা কিষান মোর্চার চেয়ারম্যান মানব সিং, সোনাইর বিডিও মোহাম্মদ মোবিন, সাংস্কৃতিক মহাসংগ্রাম কমিটির চেয়ারম্যান সৌমিত্রকুমার দাস সহ অনেকে।

অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে চেয়ারম্যান সৌমিত্র দে জানান, অসমের ইতিহাসে নজিরবিহীন অনুষ্ঠান হল সাংস্কৃতিক মহাসংগ্রাম। কোনও সরকার এ ভাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উপর এত গুরুত্ব দেননি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা  খেলাধুলোর পাশাপশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমন্বয় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। গ্রামাঞ্চলের লুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করতে এধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর ভুয়সী প্রশংসা করেছেন।

সাংস্কৃতিক মহাসংগ্রাম অনুষ্ঠানের সূচনা সোনাইয়ে

মুখ্য অতিথি হিসাবে বিজেপি জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায় বলেন, বিজেপি শুধু রাজনীতি করে না রাজনীতির পাশাপাশি তারা সমাজ ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে চায়। খেল মহারণ ও সাংস্কৃতিক মহাসংগ্রামের মধ্য দিয়ে একদিকে একে অপরের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ ও সখ্যতা গড়ে উঠে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলের শিশু কিশোররা খেলাধুলোর মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যত গড়তে সহায়ক হবে। সাংস্কৃতিক মহাসংগ্রামের মাধ্যমে সঙ্গীত চর্চার পাশাপশি লুপ্ত প্রায় সঙ্গীত ও সংস্কৃতির বন্ধন আর ও জোরদার হবে। তিনি বলেন, স্বভাবগত কারনে আমরা ভুপেন হাজারিকার মত সঙ্গীতজ্ঞকে ভুলে যেতে চলেছি। দূরদর্শী মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ভুমিকার ভুয়সী প্রশংসা করেন। সহসভাপতি অমিয়কান্তি দাস ও জেলা পরিষদের সভাপতি অমিতাভ রায় মুখ্যমন্ত্রীর এ ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, খেলাধুলোর মাধ্যমে মানুষের মানষিক বিকাশ ঘটে। একে অপরের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ব বোধ ও পারস্পরিক  ঐক্য সুদৃড় হয়। পাশাপাশি সঙ্গীত চর্চার মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া সঙ্গীত ও সংস্কৃতির জাগরন ঘটবে। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা কিষান মোর্চার সভাপতি  মানব সিং।

সাংস্কৃতিক মহাসংগ্রাম অনুষ্ঠানের সূচনা সোনাইয়ে

এর আগে সাংস্কৃতিক মহাসংগ্রামের সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান।অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সঙ্গীত, ভুপেন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিভিন্ন জিপির শিল্পীরা। শিল্পীদের বাছাই করতে অনুষ্ঠানে রয়েছেন চার সদস্যের বিচারক মণ্ডলী। মেধার ভিত্তিতে তারা শিল্পীদের বাছাই করবেন। শুক্রবার এই মঞ্চে রয়েছে নৃত্যের অনুষ্ঠান। বিভিন্ন জিপির নৃত্য শিল্পীরা লোকনৃত্য ধামাইল পরিবেশন করবেন।

Author

Spread the News