উত্তাল জিরিবাম, জাকুরাডরে সিআরপিএফ ও পুলিশ মোতায়েন
কে এ লস্কর, লক্ষীপুর।
বরাক তরঙ্গ, ১১ সেপ্টেম্বর : জিরিবামেও সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা। চলছে গোলাগুলি। এরমধ্যেই দু’টি মিছিলে কেঁপে উঠে কাছাড় জেলা ঘেঁষা মণিপুরের জেলা জিরিবাম। বুধবার পার্বত্য উপজাতি সম্প্রদায়ের ও মণিপুরি ছাত্র সংগঠনের পৃথক পৃথক মিছিল বের হয়। এ দিন জিরিবাম শহর এলাকায় ছিল ছাত্র সংগঠনের মিছিল। অন্যদিকে জিরিবামের পার্বত্য এলাকায় উপজাতি সম্প্রদায়ের মিছল ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এ দিকে, মঙ্গলবার রাত দশটা থেকে জিরিবামের মংবুং, সেজাং, বালিজুরি অঞ্চলে রাতভর গোলাগুলি চলে। পুরো রাত মৈতৈ বনাম কুকি বন্দুকধারীদের মধ্যে গুলিযুদ্ধ চলতে থাকে। এই গুলিযুদ্ধ বুধবার সকাল পর্যন্ত চলে বলে জানা যায়। মাঝেমধ্যে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে এমনও খবর পাওয়া যায়। সকাল হতেই বিশাল মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠে জিরিবাম। ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল অ্যাডভোকেসি কমিটি জিরিবাম শাখার নেতৃত্বে এক বড়সড় মিছিল বের করা হয় জিরিবামের জাকুড়াডহরে। তাদের দাবি জিরিবাম জেলায় উপজাতি সম্প্রদায়ের হিলস রাইটস প্রদান করতে হবে। অন্যথায় জিরিবামের পার্বত্য অঞ্চল ফেরজল জেলায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
জাকুড়াডহর নেতাজি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্লেকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে প্রায় ৩ হাজারের অধিক মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে বিক্ষোভ সহ বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে মণিপুর সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মিছিল চলাকালীন মণিপুর পুলিশ ও বিশাল সিআরপিএফ বাহিনী প্রতিবাদকারীদের আটকানোর চেষ্টা করলে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ঠেলাধাক্কার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এতে প্রতিবাদকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিলকে এগিয়ে নিতে চাইলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ফলে মণিপুর পুলিশ বাধ্য হয়ে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর পাশাপাশি টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যেকোনো সময় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনার পর জিরিবামের জাকুরাডর এলাকায় বিশাল সিআরপিএফ বাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।