প্রভূ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন নাকচ আদালতের
রাজীব দে, ঢাকা।
২৬ নভেম্বর : অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মঞ্জুর হল না। আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বয়স (৩৮) চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ আদালতের। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজি শরিফুল ইসলামের আদালত মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২ টার সময় এই আদেশ দেন।
এর আগে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী স্বরূপকান্তি নাথ সাংবাদিকদের জানান, অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জন্য জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে। তিনি এও জানান, চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর পক্ষের আইনজীবীরা ধর্মীয় রীতিনীতি পালন, খাদ্য অভ্যাস অনুযায়ী খাবার প্রদান, কারাগারে চিকিৎসা ও কারাগারে ডিভিশনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তিনটি আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আদালতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে পুন্ডরিক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে হাজির করা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় করেন চিন্ময় দাসের ভক্তরা সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আদালতের আদেশের পর চিন্ময় প্রভুকে কারাগারে নেয়ার চেষ্টা হলে রাস্তা অবরোধ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাঁরা। ফলে তাঁকে নেয়া সম্ভব হয়নি। এ সময় হিন্দু ধর্মাবলাম্বীরা আদালতের বারান্দায় ‘জয় শ্রীরাম’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর বিশেষায়িত গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এর সদস্যরা।