বিধায়কের বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত আচরণের তীব্র সমালোচনা কাটিগড়া কংগ্রেসিদের
কমিটি পুনর্গঠনের দাবি____
অনিতা পাল, কাটিগড়া।
বরাক তরঙ্গ, ১৭ মে : শিলচর রাজীব ভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অপ্রত্যাশিত ঘটনার তীব্র ভাষায় সমালোচনা করেছেন কাটিগড়া ব্লক কংগ্রেসের একাংশ কর্মকর্তা সহ কংগ্রেস সমর্থিত জনগণ। শুক্রবার কাটিগড়া ব্লক কংগ্রেসের কর্মকর্তারা সাংবাদিক সম্মেলন করে বিধায়কের সঙ্গে সংঘটিত অপ্রীতিকর আচরণের তীব্র নিন্দা জানান।
এদিন নিন্দা জানিয়ে ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান চৌধুরী, কংগ্রেসের সেবাদলের প্রাক্তন কর্মকর্তা ইন্তাজুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুব কংগ্রেস কর্মকর্তা মুসলিম উদ্দিন বড়ভূইয়া, আবুল হাসান বড়ভূঁইয়া, মজির উদ্দিন বড়ভূইয়া, বদরুল ইসলাম লস্কর সহ অসংখ্য বিধায়ক সমর্থক এক দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কাটিগড়া ব্লক কংগ্রেস কমিটি ভেঙে পুনর্গঠনের দাবি জানান। তাছাড়াও বৃহস্পতিবার শিলচর জেলা কংগ্রেস আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অতিসত্বর কড়া পদক্ষেপ গ্রহন করার দাবি জানিয়েছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা আরও বলেন, ঐ তিন ব্যক্তি পূর্ব কাটিগড়ার প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য বিশ্বজিৎ মালাকার ও আয়নুল হক বড়ভূইয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম বড়ভূইয়াকে লুটেপুটে খেয়েছেন। এবার বকুল মজুমদারের ভ্রাতৃবধু জেলা পরিষদ সদস্যা নির্বাচিত হওয়ায় তাদের মতিভ্রম হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা।

তাঁরা আরও বলেন, বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদার একাধিকবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্পষ্ট ভাষায় নিজের বিরুদ্ধে উত্তাপিত পঞ্চায়েত টিকিট বণ্টনে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ খণ্ডন করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছিলেন, যদি তিনি একটা টাকা কড়ি নিয়ে থাকেন, আর এমন অভিযোগের সত্যতা কেউ যদি প্রমাণ সহ নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। তারপরও এধরনের এক বিশাল সংবর্ধনা সভায় তাকে অপমান করা হয়েছে, এটা সম্পুর্ন পূর্বপরিকল্পিতও বলে অভিহিত করেছেন তারা।