ধামাইল উৎসবের আমন্ত্রণ নিয়ে তিন বিধায়কের বাড়িতে সম্মিলিত লোকমঞ্চের দল
বরাক তরঙ্গ, ৫ ডিসেম্বর : শিলচর শিশু উদ্যানে আগামী ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর ধামাইল উৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে বুধবার সম্মিলিত লোকমঞ্চের এক প্রতিনিধিদল লক্ষীপুরের বিধায়ক কৌশিক রায়ের লক্ষীপুরের বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে দুদিবসীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এদিন বিধায়ক কৌশিক তাকে আমন্ত্রণ জানাতে আসা সম্মিলিত লোকমঞ্চের সদস্যদের জানান তিনি আন্তরিক ভাবে সম্মিলিত লোকমঞ্চের পাশে থাকবেন। তিনি বলেন বিগত দিনে বিহু নৃত্যকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে যেভাবে উদ্যোগ নিয়েছে আসাম সরকার, ঠিক তেমননি বরাক উপত্যকার লোক সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ ধামাইলকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদানের দাবি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার কাছে তুলে ধরবেন।
এদিন সম্মিলিত লোকমঞ্চের সভাপতি ড. অনুপকুমার রায় বলেন, আমরা বিধায়ক কৌশিক রায়ের আতিথেয়তায় অত্যন্ত খুশি ব্যক্ত করেছি। আমাদের এই প্রয়াসে বিধায়ক কৌশিক রায় ভীষণ আন্তরিকভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং ভবিষ্যতে ধামাইল নিয়ে আমাদের এই প্রচেষ্টাকে আরো এগিয়ে নিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এবিষয় তুলে ধরার যে আশ্বাস দিয়েছেন আমরা বিধায়কের এ ধরণের ভূমিকায় অভিভূত হয়েছি এবং কৃতজ্ঞবোধ করছি ।
এ দিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উপ-সভাপতি সুপ্রদীপ দত্তরায়, সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কানাইলাল দাস, কোষাধ্যক্ষ ঝিমলি নাথ ও যুগ্ম সম্পাদক অঙ্কিতা ভট্টাচাৰ্য প্রমুখ। অনুরূপভাবে বৃহস্পতিবার সম্মিলিত লোকমঞ্চের এক প্রতিনিধিদল পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল ও উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের সঙ্গে দেখা করে ধামাইল উৎসবের আমন্ত্রণ জানান। বিধায়কদ্বয় সম্মিলিত লোকমঞ্চের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, বিষয়টি তিনি মূখ্যমন্ত্রীর নজরে আনবেন এবং প্রয়োজনে বিধানসভার অধিবেশনেও উত্থাপন করবেন। এদিনের দলে উপস্থিত ছিলেন ড. অনুপ কুমার রায়, ভাস্কর দাস, সুপ্রদীপ দত্তরায়, কানাইলাল দাস, অঙ্কিতা ভট্টাচাৰ্য, ঝিমলি নাথ, গৌতম সিনহা, মনিমিতা গোস্বামী, ঝুমা বর্ধন। এক প্রেস বার্তায় এ খবর জানিয়েছেন সম্মিলিত লোকমঞ্চের প্রচার সম্পাদক কমলেশ দাশ।