খৎনা : নরসুন্দরের বিরুদ্ধে মামলা

বরাক তরঙ্গ, ১৩ অক্টোবর : খৎনার নামে পুরুষাঙ্গের ভিন্ন স্থানে কেটে দেওয়ায় এক মুসলিম নরসুন্দরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে শিলচর মেহেরপুরের আতালবস্তি এলাকায়। নরসুন্দরের বিরুদ্ধে ঘুংগুর পুলিশ ফাঁড়িতে মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা শবনম আক্তার বড়ভূইয়া। এফআইআরে বড়ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন, গত ৩ অক্টোবর বারিকনগরের বাসিন্দা নরসুন্দর বাবুল এক বাড়িতে এক শিশুর খৎনার কাজ করছিলেন। শবনম আক্তারের বাবা নাতি ফারহান আক্তার লস্করকে ধর্মীয়রীতি অনুযায়ী খৎনার কাজ সম্পন্ন করতে নিয়ে যান পাশের বাড়িতে। বাবুল ১,২০০ টাকার বিনিময়ে এ কাজ করেন।

খৎনা : নরসুন্দরের বিরুদ্ধে মামলা

অভিযোগকারী জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশুটির পুরুষাঙ্গ ব্যান্ডেজ করে দেন। কিন্তু ৮ অক্টোবর শিশুটি শারীরিক অসুবিধা অনুভব করলে ব্যান্ডেজ খুলে দেখা যায়, লিঙ্গাগ্রচর্ম না কেটে অন্যত্র কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে শিশুটি বর্তমানে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। এরপর বিষয়টি জানাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৯ অক্টোবর বাড়িতে ডাকা হলে, তিনি উত্তেজিত হয়ে অপ্রীতিকর ভাষায় কথা বলেন এবং হুমকি দেন, “যা ইচ্ছা করো, কিছুই করতে পারবে না।” বড়ভূইয়া সঠিক বিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। সোমবার আতালবস্তির বাবার বাড়িতে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ফারহান আক্তারের মা শবনম আক্তার বড়ভূইয়া এবিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

শবনম আক্তার বড়ভূইয়া জানান, পরবর্তীতে সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক শিলচরের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শিশুর এমতাবস্থায় পরিবারের সবাই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন শবনম আক্তার বড়ভূইয়া। তবে এ বিষয়ে নরসুন্দর বাবুলের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Spread the News
error: Content is protected !!