চিন্ময়কৃষ্ণের সমর্থন কোন বিবৃতি দেয়নি, বললেন চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী
৩০ নভেম্বর : “চিন্ময়কৃষ্ণকে তাঁরা সমর্থন করে। তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি।” এ ধরনের কোন বিবৃতি দেয়নি ইসকন বাংলাদেশ। শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিন্ময়কৃষ্ণের সমর্থনে কোনও বিবৃতি তাঁরা দেয়নি বলে জানিয়েছে। ইসকন বাংলাদেশ চিন্ময়কৃষ্ণের সমর্থনে বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যে দাবি করে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ইসকনসংক্রান্ত একটি বিবৃতি লক্ষ করেছি, যা নিয়ে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে নিউজ প্রকাশিত হচ্ছে। আমরা ইসকন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি যে, এ ধরনের কোনও বিবৃতি ইসকন বাংলাদেশ প্রদান করেনি। ইসকন বাংলাদেশ সর্বদা দেশের আইন, শৃঙ্খলা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের কোনো বিবৃতি বা কার্যক্রম কখনোই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার পরিপন্থী নয়।’ অনভিপ্রেত বিবৃতির ভিত্তিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করেছে ইসকন। যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনও তথ্য প্রচার বা শেয়ার করতে গণমাধ্যমকে আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে অনেক আগেই ইসকন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, গত ৩ অক্টোবর অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয় যে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাস (চন্দন কুমার ধর) ইসকন বাংলাদেশের মুখপাত্র নন। তাই তার বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। অতঃএব তার কৃতকর্মের জন্য ইসকন বাংলাদেশ কোনওভাবেই দায়বদ্ধ নয়। গত সোমবার চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পরদিন চট্টগ্রাম আদালত তার জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
খবর : দৈনিক ইনক্লাব ডিজিটাল।