বাল্যবিবাহ : সপ্তগ্রাম জিপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর
বরাক তরঙ্গ, ১৯ জুলাই : নরসিংহপুর উন্নয়ন খণ্ডের আওতাধীন সপ্তগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত গ্রুপ সদস্য সাদুল্লাহ লস্করের বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহের গুরুতর অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলতাফ হোসেন বড়ভূইয়া। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে আলতাফ হোসেন বড়ভূইয়া, ফখরুল ইসলাম, বাবুল কৈরি, ফখরুল ইসলাম লস্কর এবং মায়াজুল হক এই অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তারা উল্লেখ করেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে পঞ্চায়েত আইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী এনেছে। এই সংশোধনী অনুযায়ী, বাল্যবিবাহে জড়িত কোনো ব্যক্তি পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
আলতাফ হোসেন বড়ভূইয়া, যিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাদুল্লাহ লস্করের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তার অভিযোগে জানান যে সাদুল্লাহ লস্কর তার অপ্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীকে বিবাহ করে বাল্যবিবাহে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি এই ঘটনাকে বর্তমান গ্রাম পঞ্চায়েত আইন ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেন।
তার সংগ্রহীত তথ্য অনুযায়ী, সাদুল্লাহ লস্করের স্ত্রীর জন্ম তারিখ ১৭/০২/১৯৯১ এবং তাদের বিবাহের তারিখ ২৫/০৪/২০০৭। এই হিসেবে বিবাহের সময় তার স্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর ২ মাস ৮ দিন, যা আইনত বাল্যবিবাহের সংজ্ঞায় পড়ে। এছাড়াও, তাদের প্রথম কন্যা সন্তানের জন্ম তারিখ ১২/১০/২০০৮। আলতাফ হোসেন আরও জানান যে, মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ১১ এপ্রিল অনুযায়ী সাদুল্লাহ লস্করের কন্যার বয়স ছিল ১৬ বছর ৬ মাস, যা তার স্ত্রীর বাল্যবিবাহের বিষয়টি আরও জোরালোভাবে নিশ্চিত করে।
আলতাফ হোসেন বড়ভূইয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন যে, উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করা হোক। যদি তদন্তে বাল্যবিবাহে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে সাদুল্লাহ লস্করের পঞ্চায়েত সদস্য পদ অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।