ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার বলি ৬ তরুণ-তরুণী, শোক মুখ্যমন্ত্রীর
১৫ নভেম্বর : উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার বলি হল ৬ তরুণ-তরুণী। মৃতদের মধ্যে ৩ জন তরুন ও ৩ জন তরুনী। তাদের মধ্যে এক তরুন ও এক তরুনীর মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একমাত্র জীবিত এক তরুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
বেপরোয়া গতি ও মদ্যপানের জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করছে পুলিশ। হতাহতদের প্রত্যেকের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে এবং তারা সকলেই ছাত্রছাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে ৭ তরুণ তাদের এক বন্ধুর জন্মদিন উদযাপন করতে গিয়েছিল দেরাদুনে। তারা মধ্যপানও করে। জন্মদিন উদযাপনের শেষে তারা অতুল আগরওয়াল নামে এক ছাত্রের কেনা নতুন ইনোভা গাড়িতে চড়ে ‘লং ড্রাইভে’ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মাত্র ১৩ দিন আগে গাড়িটি কিনে দিয়েছিলেন অতুলের বাবা।
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে যে সাত বন্ধু ইনোভায় চড়ে ঘুরতে বের হয়। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অতুল। তারা একটা বিএমডব্লিউ-এর সঙ্গে গতির প্রতিযোগিতা করছিল। প্রায় ১৫০ কিমি গতিতে বিএমডব্লিউকে ওভারটেক করে অতুল। বুধবার ভোর রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ গাড়িটি দেরাদুনের ওএনজিসি চকের কাছে এলে একটা ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পরেই ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায় চালক।
এদিকে, সংঘর্ষ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ইনোভা গাড়ির ছাদ উড়ে যায় এবং রাস্তার পাশে একটা গাছে প্রবল গতিতে ধাক্কা দেয় । গোটা গাড়িটি কার্যত তালগোল পাকিয়ে যায়। এদিকে দুর্ঘটনার সময় এক তরুন ও এক তরুনী গাড়ির জানলা দিয়ে মাথা বের করে উল্লাশ প্রকাশ করছিল । দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ৬ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত সদস্য সিদ্ধেশ আগরওয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।