অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোর সুবিধা গ্রহণ করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর
জনসংযোগ, হাইলাকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২১ মে : কেন্দ্রীয় জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী ড. রাজ ভূষণ চৌধুরী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোতে উপলব্ধ সরকারি পরিষেবাগুলোর সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। হাইলাকান্দি সফররত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বুধবার আলগাপুর উন্নয়ন খণ্ডের অধীন কাপনারপারে ৯০ নং মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নতুন ভবন উদ্বোধন করে অভিভাবকদের প্রতি ভাষণ প্রসঙ্গে এই আবেদন জানান। তিনি বলেন, প্রাক- বিদ্যালয় হিসেবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোতে কচি শিশুদের জন্য অক্ষরজ্ঞান শিক্ষার পাশাপাশি পরিপূরক আহার সামগ্রী প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু অধিকাংশ অভিভাবক এ সম্পর্কে সচেতন না থাকায় এইসব পরিষেবা থেকে তাদের শিশুরা বঞ্চিত থাকেন।

বিধায়ক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ও জেলা কমিশনার নিসর্গ হিভারে-র উপস্থিতিতে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বর্ণিব্রিজ চা বাগানে স্বাস্থ্য বিভাগ পরিচালিত আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির পরিদর্শন করে সেখানে উপলব্ধ ১২টি পরিষেবার মান যাচাই করে সন্তোষ ব্যক্ত করেন। ড. রাজভূষণ চৌধুরী এরপর বক্রিহাওরে কাটাখাল নদীর বাম তীরে সাড়ে তিন কিলোমিটার লম্বা ১৫৩৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জল সম্পদ বিভাগের একটি বন্যা প্রতিরোধী বাঁধ নির্মাণের কাজ প্রত্যক্ষ করেন। এরপর তিনি পিএইচই বিভাগের ভাগারপার-বিলপার জল সরবরাহ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এক কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পটির ফলে ওই এলাকার ৩৩৩ পরিবারের বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয়জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

সোমবার থেকে হাইলাকান্দি জেলা সফররত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এরপর বুধবার বন্দুকমারায় মৎস্য উন্নয়ন বিভাগের মাছের খাদ্য দানা-ভুসি উৎপাদনের একটি প্রজেক্ট পরিদর্শন করেন। সাড়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মান এই প্রকল্পটির কাজ আগামী মাসে শেষ হবে। এটির নির্মান শেষ হলে রোজ ১০০ টন মাছের খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব হবে। ফলে সমগ্র বরাক উপত্যকা মাছের খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার জেলা কমিশনার নিসর্গ হিভারে ও জেলার শীর্ষ আধিকারিকরা ছিলেন।
