শাহকে মনে করালেন জেলবন্দি কথা কেসি, পাল্টা জবাব
২১ আগস্ট : সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে তুঙ্গে তরজা। শাসক-বিরোধীর মতানৈক্য নেমে এল ব্যক্তিগত আক্রমণে। নৈতিকতা নিয়ে তুমুল তর্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপালের। শাহকে মনে করালেন, তাঁর জেলবন্দি থাকার দিনের কথা। পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি অমিত শাহও। এর সবকিছুর নেপথ্যেই রয়েছে ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল।
কেন্দ্রের প্রস্তাবিত এই বিলে বলা হয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কিংবা কোনও রাজ্যের মন্ত্রীকে যদি গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়, যেখানে ৫ বছর কিংবা তার বেশি দিন কারাদণ্ড হতে পারে কিংবা গ্রেফতার বা আটকের পর যদি টানা ৩০ দিন হেফাজতে রাখা হয়, তবে ৩১ তম দিনে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে অথবা তাঁকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরিয়ে দেওয়া হবে। তবে পদ খোয়ানো মন্ত্রীরা মুক্তি পাওয়ার পর ফের পদ ফিরে পেতে পারেন।
এই বিল নিয়ে বিরোধীতার সুর চড়ে সংসদে। গ্রেফতার বা আটক হলেই মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর বিরোধিতা করে কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল ২০১০ সালের সোহরাবুদ্দিন শেখ ফেক এনকাউন্টার কেসের কথা তুলে আনেন। তিনি বলেন, “এই বিল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে নষ্ট করে দিচ্ছে। এটা সংবিধানের নীতি পরিপন্থী। বিজেপির নেতারা বলছেন এই বিল রাজনীতিতে নৈতিকতা আনবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটা প্রশ্ন করব? যখন উনি গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেই সময় কি নৈতিকতা ধরে রেখেছিলেন?”
সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, রেকর্ডটা ঠিক করে দিতে চাই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছিল, তারপরও আমি নৈতিকতার খাতিরে শুধুমাত্র পদ থেকে ইস্তফাই দিইনি, যতদিন পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ খারিজ হয়েছে, ততদিন আমি কোনও সাংবিধানিক পদ গ্রহণও করিনি। আমাদের নৈতিকতা শেখাতে এসেছেন? আমি ইস্তফা দিয়েছি। আমরা নৈতিকতা বাড়াতে চাই। এতটাও নির্লজ্জ হতে পারি না যে আমাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সাংবিধানিক পদে বসে থাকব। আমার গ্রেফতারির আগেই ইস্তফা দিয়েছিলাম আমি।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে সিবিআই অমিত শাহকে গ্রেফতার করেছিল। সেই সময় তিনি গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। গ্রেফতারির পর ইস্তফা দেন। তিন মাস জেলে থাকতে হয় অমিত শাহকে। ২০১৪ সালে, পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে সিবিআই স্পেশাল কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেয়।
খবর : tv9 Bangla.