বুলডোজার জাস্টিস অগ্রহণযোগ্য, প্রধান বিচারপতির রায়দান
১০ নভেম্বর : আনুষ্ঠানিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কর্মজীবন শেষ হচ্ছে ১০ নভেম্বর। তবে শনি ও রবিবারের কারণে গত ৮ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবারই ছিল তাঁর শেষ কর্মদিন। সেদিনই তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। আর তাঁর কর্মজীবনের শেষ শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ রায় (Final judgment) দিলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বুলডোজার অ্যাকশনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে জানান বুলডোজার জাস্টিস (Bulldozer justice) অগ্রহণযোগ্য। সম্পত্তি ধ্বংসের হুমকি দিয়ে নাগরিকদের কণ্ঠস্বর রোধ করা উচিত না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশের এক সাংবাদিকের পৈতৃক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মামলাই ছিল প্রধান বিচারপতি হিসাবে ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের শেষ শুনানি। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘বুলডোজারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার কোনও সভ্য দেশের বিচারব্যবস্থায় অজানা। যদি কোনও রাজ্যের সরকারি আধিকারিক বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে মানতেই হবে যে তা অত্যন্ত ভয়াবহ বিষয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সম্পত্তি এবং আবাস ধ্বংস করার হুমকি দিয়ে নাগরিকদের কণ্ঠস্বর থামানো যাবে না। আবাসের নিরাপত্তা জনতার মৌলিক অধিকার। রাজ্যকেও বাধ্যতই এমন নিয়ম মানতে হবে।’ কোনও বেআইনি নির্মাণ কিংবা জমি দখলের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই চলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ সহ মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি বিভিন্ন রাজ্যে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে শীর্ষ আদালতে। এমনকি কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি বা কেবল সন্দেহের বশেই কোনও অভিযুক্তের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই সংক্রান্ত অসংখ্য মামলার সমাধান করছে শীর্ষ আদালত। এই ‘বুলডোজার জাস্টিস’ নিয়ে বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ।