ভোলাগিরি মহারাজের তিরোধান দিবস পালন শিলচর আশ্রমে
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৬ এপ্রিল : প্রতি বছরের ন্যায় শিলচর রাঙ্গিরখাড়ী স্থিত শ্রীশ্রী ভোলাগিরি আশ্রমে ৯৭ তম শ্রীশ্রী ভোলাগিরি মহারাজের তিরোধান দিবস পালন করা হয় নানান সনাতন ধর্মীয় কার্যসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হয়। শনিবার ভোলাগিরি মহারাজের তিরোধান দিবসকে কেন্দ্র করে আশ্রম প্রাঙ্গনে ভোর পাঁচটায় মঙ্গলারতি ও প্রার্থনা, সকাল ছয়টায় নিত্য পূজা, সকাল আটটায় শিবের রুদ্রাভিষেক, সকাল দশটায় বিশেষ পূজা, দুপুর বারোটায় উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যায় আরতি ও উপাসনা করা হয়। ভোলাগিরি আশ্রমের শিলচর শাখার অধ্যক্ষ স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, সর্বত্যাগীকে সন্ন্যাসের আদর্শ ও জীবনধারা সম্পর্কে এক পরিপূর্ণ ধারণা দেবার জন্য প্রবেশার্থীদের আশ্রমিক কর্মসূচিগুলি পরিকল্পিত।
প্রবেশার্থীকে মনোভাব ও অভ্যাস উন্নত করে তার আধ্যাত্মিক জীবনকে আরও গভীরতর করতে এবং পরমাত্মা ও গুরুর সঙ্গে একাত্ম হতে সাহায্য করার ওপর এটি জোর দেয়। আশ্রমিক জীবনের এই প্রথম ধাপটি সর্বত্যাগীকে তার আত্মত্যাগের পথে চলার অভিপ্রায়ের গভীরতা পরিমাপ করতে ও সাথে সাথে সর্বত্যাগীর আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের তাকে ক্রমাগত সন্ন্যাসের আদর্শের আরও গভীরতর অনুধাবনের জন্য সহায়তায় সম্মতি দেয়। ঈশ্বরে সম্পূর্ণ উৎসর্গীকৃত জীবনধারণের সঙ্গে সঙ্গে সন্ন্যাসী চারিত্রিক পরিপূর্ণতা, সেবা, সর্বোপরি ঈশ্বরপ্রেমে আরও সযত্নে সচেষ্ট হন।

তিনি শ্রীশ্রী ভোলাগিরি মহারাজ উচ্চ আদর্শের দৃষ্টান্তের পবিত্র দায়িত্ব গ্রহণ করেন আর সেই দৃষ্টান্তের মাধ্যমে অন্যান্যদের ঈশ্বরীয় অনুসন্ধানের জন্য অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দান করেন। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে সহযোগিতায় ছিলেন পঙ্কজ দে, ভোলানাথ চৌধুরী, সুশান্ত সেন, অনুপ শীল, সৌমেন দত্ত চৌধুরী অন্যান্যরা।