দেশের অখণ্ডতা রক্ষার্থে সরকারের পাশে দাঁড়ানো উচিত : বিডিএফ
বরাক তরঙ্গ, ২৭ এপ্রিল : কাশ্মীরের ‘পহেলগাঁও’ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে ২৭ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুর পর আন্তর্দেশীয় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই ন্যাক্কারজনক হামলার পেছনে যে পাকিস্তানের হাত রয়েছে তাঁতে কোন সন্দেহ নেই, কারণ ইতিমধ্যে লস্কর এ তৈবার মদতপুষ্ট একটি সংগঠন এই ঘটনার দায়ভার স্বীকার করেছে। যেহেতু বিষয়টির সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ এবং সুরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত তাই এই মুহূর্তে রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে সবাইকে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, পহেলগাওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় যে ঘটনা ঘটল বিডিএফের পক্ষ থেকে তিনি তার তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ মানবতার শত্রু। নিরীহ, নিরস্ত্র মানুষের হত্যার চেয়ে বড় নির্মমতা বা কাপুরুষতা আর কিছু হতে পারে না। তাই কোন সভ্য মানুষ এটাকে মেনে নিতে পারেন না এবং যেহেতু মুম্বাই হামলা থেকে শুরু করে বারবার একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মদতে এই ধরনের হামলা হচ্ছে তাই এবার এটাকে ঠেকাতে হলে সরকারকে কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতেই হবে। আর যদি তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তবে জনগন হতাশাগ্রস্ত হবেন । এবং এই নির্ণায়ক মুহুর্তে রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে সবার সহযোগিতা জরুরী। তিনি বলেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো এই সংকট মুহূর্তে বিডিএফও সরকারের সাথে রয়েছে।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন, ধর্মের নামে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ সারা বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এই ব্যাপারে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তাই এই মুহূর্তে সবদিক চিন্তা করে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যারা নিরীহ পর্যটকের হত্যার কারণ তাঁদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি অবশ্যই চাই কিন্তু দুটি পরমানুধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে গেলে তার প্রভাব আরো বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তাই সবদিক ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরী।তিনি বলেন এই মুহূর্তে সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের স্বার্থে সবাইকে একজোট থাকতে হবে কারন জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত না হলে সবার সুরক্ষাই বিঘ্নিত হবে। তাই সবার কথায় এবং কাজে সংযম বাঞ্ছনীয়। বিডিএফ এর পক্ষ থেকে হৃষীকেশ দে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন।
