ত্রাণ না পাওয়ায় কাটিগড়া সার্কল কার্যালয় ঘেরাও সীমান্তের বানভাসিদের

অনিতা পাল,  কাটিগড়া।
বরাক তরঙ্গ, ২১ জুন : মিলছে না ত্রাণ। সরকার বা প্রশাসনের কাছ থেকে নেই কোন সাহায্য সহযোগিতা। বেপাত্তা স্থানীয় বিধায়ক। এনিয়ে ক্ষোভ জন্মে ছিল কাটিগড়ার ভারত-বাংলা সীমান্তের বানভাসিদের মধ্যে। আর শুক্রবার ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। বানভাসিরা কাটিগড়া সার্কল কার্যালয়ে এসে পৌঁছেন। এবং ঘেরাও করে সরকার ও বিধায়কের ব্যর্থতার প্রতিবাদ জানিয়ে উত্তাল করে তুলেন।

এ দিন সীমান্তের মহাদেবপুর, রংপুর, নাতানপুর এবং সরসপুর, পিরনগর, রাজপুর, নিশ্চিন্তপুর ইত্যাদি গ্রামের ভুক্তভোগীরা সার্কল কার্যালয়ে এসে সার্কল অফিসার হায় হায়, বিধায়ক খলিল উদ্দিন মজুমদার মুর্দাবাদ, মুর্দাবাদ প্রভৃতি স্লোগান দিয়ে উত্তাল করে তুলেন। আবার এরমধ্যে অসম সরকার জিন্দাবাদ, মুখ্যমন্ত্রী জিন্দাবাদ ধ্বনিও শোনা যায়।

ত্রাণ না পাওয়ায় কাটিগড়া সার্কল কার্যালয় ঘেরাও সীমান্তের বানভাসিদের

সুমিত বৈষ্ণব, নিরুপম নাথ, শৈলেন বৈষ্ণব, ইন্দ্রজিৎ বৈষ্ণব, রামানুজ নাথ, সত্যব্রত অধিকারী, নীলমণি দাসরা জানান, পশ্চিম কাটিগড়া বহু গ্রাম তিন চার দিন থেকে বন্যায় ভাসছে। বহু লোকের বাড়িঘর বন্যার জলের তলায় রয়েছে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার কাছাড় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে কাছাড়ের জেলাশাসকের কাছে ত্রাণ প্রদানের কথা জানিয়েছেন সার্কল অফিসার রবার্ট টেলর। তাদের অভিযোগ রংপুর, মহাদেবপুর, নাতানপুর, পিরনগর, নিশ্চিন্তপুর, নিজ জালালপুর, চণ্ডীনগর, হরিনগর, জাবদায় বন্যার জলে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাঁদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি। অথচ কয়েকদিন ধরে বন্যায় জলের তলায় থাকার পরও প্রশাসন এবং বিধায়ক তাদের কোনও খবর নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

Author

Spread the News