সাউন্ড সিস্টেমে নজির সৃষ্টি বাঁশকান্দি মাদ্রাসার

বরাক তরঙ্গ, ১০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার,
শুকনোর মরসুম শুরু হতেই আয়োজন করা হয় বিভিন্ন ধর্মীয় সমাবেশ। আর এই সমাবেশের মাইকের শব্দে সাধারণত মানুষ নাজেহাল। ভাবাবেগে আঘাত আসবে বলে কেউই মুখ খুলেননা। কষ্ট হলেও সহ্য করে নেন। এমতাবস্থায় লাখো লোকের সমাবেশ বাঁশকান্দি দারুল উলুম মাদ্রাসার বার্ষিক এনামি জলসা অর্থাৎ খতমে বুখারিতে সাউন্ড সিস্টেমের ক্ষেত্রে নজির সৃষ্টি করেছে। এই বিশাল সমাবেশে কোন ধরনের উচ্চমাত্রার শব্দের সিস্টেম ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি প্যান্ডেলের বাইরেও কোন মাইক লাগানো হয়নি। প্যান্ডেলের ভেতরে কম তরঙ্গে সাউন্ড বক্স বসিয়ে ভারত বিখ্যাত ইসলামি পণ্ডিতরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের এই ব্যবস্থা দেখে অনেকেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। প্রতিবছরই বাঁশকান্দিতে এই সমাবেশে হাজার হাজার লোক জমায়েত হন। এতে লোকের সমাগম সহ কৃত্রিম ট্র্যাফিক জ্যাম সৃষ্টি হয় এই সময়ে উচ্চতরঙ্গের শব্দে মানুষ বাড়তি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই প্রথমবার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসার বাইরে এবং ভেতরে উচ্চতরঙ্গের কোন ধরনের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার না করায় এই সমস্যা থেকে মানুষ রেহাই পেয়েছেন পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের প্রশংসাও করছেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সাউন্ড সিস্টেমের ক্ষেত্রে নতুন করে নজির সৃষ্টি করল।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শব্দ দূষণের ক্ষেত্রে সচেতন হলেও কিন্তু বহু শ্রদ্ধালু একমত হননি। মাদ্রাসার প্রধান খতমে বুখারির আমন্ত্রণ জানিয়ে বারবার আহ্বান করেছিলেন অংশগ্রহণকারীরা যাতে বাহনের উপরে মাইক লাগিয়ে গজল বা কিরাত বাজিয়ে যাতে না আসেন। কিন্তু অনেকেই এই আহ্বান কর্ণপাত করেননি। বহু বাহনে মাইক লাগিয়ে বুখারিতে অংশ নিতে দেখা যায়।

একইভাবে ঐতিহ্যবাহী টানটুর পীর সন্তান আব্দুল বাসিত চৌধুরী বাহনে মাইক লাগিয়ে না আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন সে ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। বহু যানবাহনে মাইক উপরে লাগিয়ে গজল, কিরাত বাজিয়ে অংশ নেওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যদি কোন ব্যক্তি কাউকে হৃদয় থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গে ভালোবাসেন তাহলে ওই ব্যক্তি তাঁর শ্রদ্ধেও ব্যক্তির ফরমান মেনে চলাও কর্তব্য এবং শ্রদ্ধার মধ্যে পড়ে।

সাউন্ড সিস্টেমে নজির সৃষ্টি বাঁশকান্দি মাদ্রাসার
সাউন্ড সিস্টেমে নজির সৃষ্টি বাঁশকান্দি মাদ্রাসার

Author

Spread the News