আদালতের কাগজ নিয়ে কক্ষের দরজা খুলে চেয়ারে বসলেন অতনু

ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৯ আগস্ট : আদালতের  কাগজ হাতে নিয়ে শনিবার নিজের কক্ষের চাবি খুলে চেয়ারে বসলেন শিলচর ডিএসএ-র সাধারণ সচিব অতনু ভট্টাচার্য। জেলা ক্রীড়া সংস্থার পরিচালন সমিতি (জিবি)-র সিদ্ধান্তে আজীবন নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে সতীন্দ্রমোহন দেব মেমোরিয়াল স্টেডিয়ামে পা মাড়াননি তিনি। এদিন জিবি-র স্থগিতাদেশের কাগজ পেয়ে স্বশরীরে চেয়ারে বসেন।

প্রসঙ্গত, গত মে মাসের শেষদিকে একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে যে বিবাদের সূচনা হয়েছিল, সেটা এখনও অব্যাহত থাকলেও অতনু বাবু আপাতত স্বস্তিতে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বরের পর বোঝা যাবে তিনি সচিব হিসাবে থাকছেন নাকি তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।

গত ৭ জুন গভর্নিং বডির বৈঠকে অতনু ভট্টাচার্যকে সচিব পদ থেকে বরখাস্ত করা এবং ডি এস এ থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে অতনু ভট্টাচার্য আদালতের কড়া নেড়ে টাইটাল সুট করেন। পাশাপাশি আদালতের রায় আসার আগে পর্যন্ত তিনি যাতে সচিবের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারেন সেজন্য তিনটি মিসকেস করেছিলেন। সেগুলি গত ১৫ জুলাই খারিজ হয়ে যেতেই সবাই ধরে নিয়েছিলেন শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থায় অতনু ভট্টাচার্য এখন আর অতীত। ৬ সেপ্টেম্বর টাইটাল সুটের রায়ে এতে স্রেফ চূড়ান্ত সিলমোহর পড়বে। কিন্তু অতনু বসে থাকেননি। ৪ আগস্ট তিনি আরেকটি মামলা করেন এবং কাছাড়ের সিভিল জাজ সিনিয়র ডিভিশন টু থেকে ৭ আগস্ট তিনি স্থগিতাদেশের পক্ষে রায় পেয়ে যান। যার ফলে সচিব পদে তার কাজ করতে আপাতত কোন‌ও বাধা থাকলো না। শনিবার আদালতের কাগজ পেয়ে কক্ষের দরজা খুলে অতনুবাবু কাজে যোগ দেন। দরজার চাবি এতোদিন তাঁর কাছেই ছিল। এদিন সন্ধ্যায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার একটি সাংবাদিক সম্মেলনেও অংশগ্রহণ করেন। সেখানে সহসচিব দেবাশিস সোম‌ও উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, অতনু বাবুর অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন দেবাশিস।

Spread the News
error: Content is protected !!