সাধারণ পদ্ধতিতেও ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করবে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়
বরাক তরঙ্গ, ২১ মে : কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স পরীক্ষা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছাত্রছাত্রীরা এবং এনিয়ে অনেকেই প্রতিবাদ করছেন। এরই মধ্যে আসাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তারা ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এই পরীক্ষাতেই সীমাবদ্ধ থাকছেন না, তারা সাধারণ পদ্ধতিতেও ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে যে আবেদন প্রক্রিয়া রয়েছে, ইচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদের সেখানে আবেদন জানাতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বরাক উপত্যকার ২৯ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে এবং এখনো একটি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি। তারা বলেন, ‘আমরা গত বছর ৩১ হাজার ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করেছি। অর্থাৎ যদি শুধুমাত্র এই পরীক্ষার মাধ্যমেই ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয় তাহলে অর্ধেকের বেশি আসন খালি থাকবে। আমরা শিক্ষা বিভাগের কাছে আবেদন জানিয়েছি, এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বাইরেও অন্যান্যদের যাতে আমরা ভর্তির সুযোগ দিতে পারি, সেই অনুমতি আমাদের দেওয়া হোক। তবে এক্ষেত্রেও একটা বিশেষ নিয়ম রয়েছে। ভর্তির জন্য আবেদনের অ্যাপ যখন খুলবে, যারা সিইউইটি পরীক্ষায় অংশ নেয়নি অথচ ভর্তি হতে চায় তাদের এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। কারণ অ্যাপের অধীনে না এলে আমরা কাউকে ভর্তি করতে পারব না।’
তারা এ বিষয়ে রবিবার বিকেলে এক বৈঠক করেন এবং সোমবার সকালে শিক্ষা বিভাগের উদ্দেশে এক চিঠি পাঠানো হয়। বরাক উপত্যকার তিন জেলা, ডিমা হাসাও এবং কার্বি আংলং জেলার ছাত্রছাত্রীদের মাতৃভাষা বিষয়ে পরীক্ষা এখনও বাকি। এই পরীক্ষার সেন্টার রয়েছে মিজোরাম, ত্রিপুরা সহ অন্যান্য এলাকায়। এনিয়ে ইতিমধ্যে অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন তবে এর আগেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা বিভাগের কাছে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছেন, তারা যেন সিদ্ধান্ত বদল করেন। এর পাশাপাশি তারা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শুধুমাত্র সিইউইটি পরীক্ষাই শেষ কথা হবে না, তারা এর বাইরেও ভর্তির সুযোগ দেবেন। তারা চিঠিতে লিখেছেন, ‘ভৌগোলিক দিক দিয়ে বরাক উপত্যকা এমন একটা জায়গায় রয়েছে যেখান থেকে বছরের একটা বিশেষ সময়ে বাইরে যাওয়া কষ্টকর হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে কখনও সপ্তাহের পর সপ্তাহ রাস্তাঘাট বন্ধ থাকে। এমন অবস্থায় এই পরীক্ষার একটি বিষয় বাইরের রাজ্যে বা অসমের অন্যান্য জায়গায় আয়োজন করা ঠিক হয়নি। আমরা আবেদন রাখছি, এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হোক।’