অসম ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোর্ডের রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নৃত্যের হাইলাকান্দি অডিশন সম্পন্ন
বরাক তরঙ্গ, ১০ জুন : অসম ভাষিক সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এবছর ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বয়স ভিত্তিক রবীন্দ্র সঙ্গীত ও রবীন্দ্র নৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আর অনুষ্ঠানের মূল পর্বে অংশ গ্রহণ করার জন্য এখন বরাক উপত্যকা সহ রাজ্যের ১৯ টি জেলায় এখন উৎসব মুখর পরিবেশ।
আর এই প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের মূল পর্বে অংশ গ্রহণ করার জন্য হাইলাকান্দি জেলায় গত ৮ ও ৯ জুন রবীন্দ্র সঙ্গীত ও রবীন্দ্র নৃত্যের জন্য মোট তিনটি বিভাগে অডিশন পর্ব সম্পন্ন হয়।
হাইলাকান্দি শহরের কালীবাড়ি রোডের শ্যাম সুন্দর উৎসব ভবনে আগামী ৮ জুন রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং ৯ জুন রবীন্দ্র নৃত্যের বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার ৮ বছর থেকে ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রায় দুইশত প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেন। ৮ জুন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতির সম্মুখে রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রতিযোগিতার বাছাই পর্বের সূচনা করেন ভাষিক সংখ্যা লঘু উন্নয়ন বোর্ডের হাইলাকান্দি জেলার সদস্য সমাজ সেবী সন্দীপন পাল সহ এস এস কলেজের রসায়ন বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তথা কবি সংস্কৃতি কর্মী ড. দেবাশিস গুহ ঠাকুরতা, বিচারক হিসেবে উপস্থিত বরাক উপত্যকার বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সুদীপ্তা ভট্টাচার্য ও শিতল রায় সহ হাইলাকান্দি শহরের বেশ কয়েকজন সঙ্গীত শিক্ষিকা সংস্কৃতি কর্মী।
হাইলাকান্দি সেন্টারে পক্ষ থেকে দুই বিচারক সহ অন্যান্যদের সম্মান জানান হাইলাকান্দি সেন্টারের সদস্য দীপশংকর পাল, প্রীতমকান্তি দে। স্বাগত জানান সেন্টার সংযোজক সংস্কৃতি কর্মী শংকর চৌধুরী। তিনি জানান আসাম সরকারের ভাষিক সংখ্যা লঘু উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে দ্বীতিয় বছর মত এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে হচ্ছে।
এক্ষেত্রে উভয় বিভাগের বাছাই পর্বের জন্য রয়েছে তিনটি বিভাগ। ক বিভাগ ৮ বছর থেকে ১২ বছর, খ বিভাগ ১৩ বছর থেকে ১৭ বছর এবং গ বিভাগ ১৮ বছর থেকে ৩৫ বছর।এর মধ্য থেকে পরবর্তী ধাপের ছাড়পত্র পত্র পাবে ক বিভাগ থেকে একজন, খ বিভাগ থেকে দুইজন এবং গ বিভাগ থেকে তিনজন।সবমিলিয়ে সঙ্গীত এবং নৃত্য বিভাগ মিলিয়ে ১২ জন প্রতিযোগী হাইলাকান্দি জেলা কে প্রতিনিধিত্ব করবে ফাইনাল পর্বে গুয়াহাটিতে। আগামী ২১, ২২ ও ২৩ জুন গুয়াহাটি শংকর দেব কলাক্ষেত্রে রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রতিনিধিরা নিজেদের গান ও নাচ উপস্থাপন করবেন। উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সন্দীপন পাল সরকারের এই পদক্ষেপের সাধুবাদ জানান।
অনুরূপ ভাবে গত ৯ জুন রবীন্দ্র নৃত্য প্রতিযোগিতার সূচনা হয় কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করার মাধ্যমে। সেন্টারের অপর সদস্য সমাজ কর্মী জওহর নাথ প্রদীপ প্রজ্বলন করেন এবং সরকারের এই পদক্ষেপের সুফল নিতে আহ্বান জানান। বিচারক মণিকঙ্কনা দাস ও মধুছন্দা দত্ত চৌধুরীকে উত্তরীয় ও স্মারক তুলে দেন সঙ্গীত দীপশংকর পাল ও জওহর নাথ। তারপর দিনভর প্রতিযোগিতা চলার পর সন্ধ্যায় ফলাফল প্রকাশ করা হয়। জেলা সংযোজক জানান হাইলাকান্দি জেলা থেকে মোট বাছাই কৃত ১২ জন শিল্পীর মধ্যে রবীন্দ্র সঙ্গীতের ছয়জন হলেন ঋষিতা সেনগুপ্ত, শ্রুতি চৌধুরী, তানিয়া দেব, মৌমিকা দেব, সঙ্কিতা নাথ মজুমদার ও নিরুপম ঘোষ। তাছাড়া রবীন্দ্র নৃত্যের বাছাইকৃত ছয়জন শিল্পী হলেন বেদাত্রয়ী গোস্বামী, রাজস্বী নাথ, অনুষ্কা পাল, সপ্তমিতা বিশ্বাস, নেহা নাথ ও পূজা দেব।