উন্নয়নের প্রতি অসম সরকার দৃঢ় অঙ্গীকার : কৌশিক রায়

লক্ষীপুর সমজেলায় পর্যালোচনা বৈঠক মন্ত্রীর____

জনসংযোগ, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৯ মে : লক্ষীপুর সমজেলা কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠকে বৃহস্পতিবার রাজ্যের খাদ্য, গণবণ্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী কৌশিক রায় তুলে ধরলেন লক্ষীপুর সমজেলার সার্বিক উন্নয়নের নানা দিক। বিভিন্ন দপ্তরের চলতি প্রকল্পগুলির অগ্রগতি নিয়ে বিস্তৃত পর্যালোচনা করেন তিনি, যেখানে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও নির্মাণ সংস্থার প্রতিনিধিরা। মন্ত্রী সুস্পষ্ট বার্তা দেন — প্রকল্পগুলি সময়মতো সম্পন্ন করতে হবে এবং গুণগত মানে কোনওরকম আপস চলবে না।

মন্ত্রী রায়ের কণ্ঠে স্পষ্ট ছিল উন্নয়নের প্রতি অসম সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার। তিনি পিডব্লিউডি (রোডস)-এর আওতায় আসা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পগুলির বিস্তারিত খতিয়ান চান, বিশেষ করে ‘অসম মালা’, ‘মুখ্যমন্ত্রীর গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প ও চা-বাগান অধ্যুষিত এলাকার গ্রামীণ সংযোগমূলক রাস্তাগুলি নিয়ে। নির্মাণে গতি আনার পাশাপাশি টেকসই ও মানসম্পন্ন কাজের উপর তিনি জোর দেন।

এরপর মন্ত্রী নজর দেন পিডব্লিউডি (বিল্ডিং)-এর কাজের দিকে— সমজেলা আয়ুক্তের নতুন দপ্তর ভবন, ১০০ শয্যার জেলাশাসিত হাসপাতাল এবং চা-বাগান এলাকায় নির্মাণাধীন মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলি। জগন্নাথ মন্দির প্রকল্প এবং আসন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নিয়েও আলোচনা হয়, যেগুলি ভবিষ্যতে জনসেবা ও সাংস্কৃতিক বিকাশের কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

উন্নয়নের প্রতি অসম সরকার দৃঢ় অঙ্গীকার : কৌশিক রায়

জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের প্রসঙ্গ আসে আলোচনায়। মন্ত্রী পরিস্কার পানীয়জল সরবরাহ প্রকল্পগুলির অগ্রগতিতে তৎপরতা চান। তিনি বলেন, গ্রামীণ অঞ্চলের মানুষদের বিশুদ্ধ পানীয়জল পাওয়ার অধিকার রয়েছে, এবং এই অধিকারকে বাস্তবে রূপ দিতে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।

আসন্ন বর্ষাকে মাথায় রেখে মন্ত্রী বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখেন। দুর্যোগের সময়ে যাতে বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিঘ্ন না ঘটে, সে বিষয়ে সর্তকবার্তা দেন তিনি। বিশেষভাবে গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিদ্যমান সমস্যার দ্রুত সমাধানে জোর দেন।

উন্নয়নের প্রতি অসম সরকার দৃঢ় অঙ্গীকার : কৌশিক রায়

মন্ত্রী কৌশিক রায় তাঁর বক্তব্যের শেষে এক সুস্পষ্ট আহ্বান জানান— সমস্ত আধিকারিক ও নির্মাণকারী সংস্থাগুলিকে দায়িত্ববোধ নিয়ে এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি মনে করিয়ে দেন, উন্নয়ন একটি সম্মিলিত প্রয়াস, এবং প্রতিটি প্রকল্প, তা যত ছোটই হোক না কেন, মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

উক্ত বৈঠক কেবল একটি পর্যালোচনা সভা নয়, বরং লক্ষীপুর সমজেলার প্রশাসনিক কার্যকারিতা ও জনসেবার প্রতি সরকারের উন্নয়নমুখী মনোভাবের এক জ্বলন্ত প্রমাণ। মন্ত্রী কৌশিক রায়ের এহেন দৃঢ় ও বাস্তবমুখী দৃষ্টিভঙ্গি নিঃসন্দেহে লক্ষীপুর সমজেলার সামগ্রিক উন্নয়নে এক নতুন গতি আনবে।

Author

Spread the News