কাছাড়ে কংগ্রেসের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদে অরুণ, সরলেন অভিজিৎ
বরাক তরঙ্গ, ৯ এপ্রিল : কাছাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে কংগ্রেস এ পর্যন্ত কোনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। এরই মধ্যে জেলা কংগ্রেসের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ পাল। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরুণ দত্ত মজুমদার।
গভীর রাতে এসব ডামাডোলের আগে দলীয় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবারও দলের জেলাস্তরের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যরা দফায় দফায় বৈঠকে বসেন। তবে এতেও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে এক বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, সোনাই বিধানসভা এলাকায় জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য পদে প্রার্থী চয়নকে ঘিরে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় এতে হস্তক্ষেপ করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। সূত্রটি জানান, প্রদেশ কংগ্রেসের পদ্মচ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সোনাইর প্রার্থী চয়নের ব্যাপারটা তাদের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করা হবে। যদিও অভিজিৎ পাল দাবি করেন এ ধরনের কোনও নির্দেশ আসেনি প্রদেশ কংগ্রেস থেকে। তিনি আরও জানান, ব্যক্তিগত কারণে এদিন তিনি জেলা পর্যায়ের ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে এক সপ্তাহের জন্য তাঁকে অব্যাহতি দিতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে। তাঁর অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন প্রদেশ নেতৃত্ব। এবার এই সময়কালে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রদেশ কংগ্রেস নির্দেশ দিয়েছে প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরুণ দত্ত মজুমদারকে।
অভিজিৎ কথা প্রসঙ্গে জানান, সোনাইয়ে সুফিয়ার লস্কর এবং অন্য একজন মহিলা যারা জেলা পরিষদ সদস্য পদে দলের টিকিটের দাবি জানিয়েছিলেন, তাদের নিয়ে অভিযোগ উঠায় এদিন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়ানোর আগে ছুটিনি পর্বে দু’জনের আবেদনপত্র বাতিল করে দিয়েছেন। এদিকে, দলীয় এক সূত্র জানান সোনাই বিধানসভা এলাকার বাইরেও কিছু কিছু জেলা পরিষদ এবং আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য পদে প্রার্থী চয়ন নিয়ে দলের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়েছে সরগরম পরিস্থিতি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি চর্চা হচ্ছে বড়খলা বিধানসভা এলাকার ভুবনেশ্বর নগর-শ্রীকোণা এবং কাটিগড়া বিধানসভা এলাকার মোহনপুর-শালচাপড়া জেলা পরিষদ আসন নিয়ে।
ভুবনেশ্বরনগর-শ্রীকোণা জেলা পরিষদ আসনে রয়েছেন দু’জন দাবিদার, দলের জেলা কমিটির দুই সাধারণ সম্পাদক ফরিদা পারভিন লস্কর ও দিলওয়ার হোসেন লস্কর। এই দু’জনের মধ্যে কাকে বাছাই করা হবে এ নিয়ে দু’টানায় পড়ে গেছেন জেলা নেতৃত্ব। তবে দলীয় সূত্রটি জানান, ওই জেলা পরিষদ আসন যেহেতু উন্মুক্ত তাই শেষ পর্যন্ত দিলওয়ারের ভাগ্যেই ছিঁড়তে পারে শিকে। শালচাপড়া-মোহনপুর আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। এই আসনে দাবিদার দলের দুই প্রভাবশালী কর্মকর্তা বকুল মজুমদার ও হোসেন আহমদ চৌধুরীর পত্নীরা। এই আসনেও প্রার্থী চয়ন নিয়ে দুটানায় পড়ে গেছেন জেলা নেতৃত্ব।
