এপিডিসিএল’র প্ৰস্তাবের তীব্ৰ বিরোধিতা কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের

বরাক তরঙ্গ, ৪ ফেব্রুয়ারি : আগামী অর্থ বছরের বিদ্যুতের মাশুল নিৰ্ধারণের ক্ষেত্রে টাইম অফ ডে (টিওডি) নীতি প্ৰবৰ্তন করে বিদ্যুতের মাশুল তিন ধরনের করার এপিডিসিএল’র প্ৰস্তাবের তীব্ৰ বিরোধিতা করে মঙ্গলবার অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গোটা রাজ্যের সঙ্গে শিলচরেও জেলা আয়ুক্ত মারফত অসম বিদ্যুৎ নিয়ামক আয়োগের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকপত্ৰ প্ৰেরণ করা হয়। বেলা ১ টায় অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছাড় জেলা কোর্ডিনেশন কমিটির এক প্রতিনিধি দল জেলা আয়ুক্তের হাতে স্মারকপত্র তুলে দেন।

স্মারকপত্রে উল্লেখ করা হয় যে, এপিডিসিএল’র এই প্ৰস্তাব চূড়ান্ত জনবিরোধী কারণ বিদ্যুৎ খোলা বাজারের পণ্য নয় যে চাহিদার উপর ভিত্তি করে দাম নিৰ্ধারিত হবে। বিদ্যুৎ একটি অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা, আধুনিক সভ্যতার অন্যতম চালিকাশক্তি। কোনো মতেই বিদ্যুতকে অন্যান্য পণ্যের মতো ভাবা উচিত হবে না। স্মারকপত্রে এও বলা হয়, এই নীতি চালু হলে সাধারণ মানুষের উপর মারাত্মক অৰ্থনৈতিক বোঝা চাপবে। বিগত বছরগুলোতে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মাশুল বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন সংগঠিত হওয়ায় এবার এপিডিসিএল মাশুল বৃদ্ধির প্রস্তাব করে নি, কিন্তু ঘুরপথে মাশুল বৃদ্ধির ষড়যন্ত্র করছে। এই নীতি আসামের জনগণ মেনে নেবে না। গ্রাহকদের স্বাৰ্থে অসম বিদ্যুৎ নিয়ামক আয়োগ যাতে কোনো অবস্থাতেই এপিডিসিএল’র এই জনবিরোধী প্ৰস্তাবে অনুমোদন না দেয় সে দাবি জোরালো ভাবে স্মারকপত্রে তুলে ধরা হয়।

স্মারকপত্র প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন কোর্ডিনেশন কমিটির অন্যতম সদস্য যথাক্রমে দীপঙ্কর চন্দ, রঞ্জিত চৌধুরী, কমল চক্রবর্তী, মানস দাস, খাদেজা বেগম লস্কর, সামছুল ইসলাম এবং অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য কমিটির অন্যতম আহ্বায়ক হিল্লোল ভট্টাচার্য।

এপিডিসিএল'র প্ৰস্তাবের তীব্ৰ বিরোধিতা কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের
এপিডিসিএল'র প্ৰস্তাবের তীব্ৰ বিরোধিতা কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের

Author

Spread the News