সাধু-সন্যাসীদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন চুরাইবাড়ি মুতলবি মোকামের বার্ষিক মহফিল
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ৭ ফেব্রুয়ারি : সাধু-সন্যাসী, পীর-ফকির, বাউল, শিল্পী সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হল অসম-ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী চুরাইবাড়ি শাহ মুতলবি মোকামের বার্ষিক উরুছ মহফিল। প্রতি বছর এই উরুছ মহফিল সর্বধর্ম মিলন মেলার রূপ ধারণ করে। সব ধর্মের মানুষ এই মোকামকে বিশ্বাস করেন এবং নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনে এখানে এসে সাধনা করে থাকেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় শুরু হয়ে শুক্রবার সকাল সাতটা পর্যন্ত চলে উরুছ মহফিলের বিভিন্ন কর্মসূচি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বামী ধন্যনাথা অবধূত মহারাজ, কটামণি সায়নোসোর অ্যাকাডেমির অধ্যক্ষ নুরুল আলম, পুলিশ আধিকারিক প্রণব মিলি, বিট অফিসার সেলিম উদ্দিন চৌধুরী, বরাক উপত্যকা সর্বধর্ম সমন্বয় সভার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আমির হোসেন, বিজেপি মাইনোরিটি মোর্চার সভাপতি হায়দর আলী, বাঘন জিপির প্রাক্তন সভানেত্রী শিপ্রারানি কৈরী, সমাজকর্মী হাবিজ উদ্দিন, জয়নুল হক, সাংবাদিক নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

বিশেষ অতিথি শিপ্রারানি কৈরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুতলবি মোকাম একটি জাগ্রত মোকাম। তার প্রমাণ বহন করে মোকামের বার্ষিক উরুছ মহফিলে জনসাধারণের স্রোত। মোকাম চত্বরে অবস্থিত প্রকাণ্ড দুটি গাছের অলৌকিক দৃশ্য পির মুতলবির কেরামতি বলে মত ব্যক্ত করেন তিনি। মোকামের রাস্তা পাকাকরণ, বিদ্যুৎ সংযোগ ও জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন শিপ্রারানি কৈরী ও হায়দর আলি। অতিথি বরণ করেন মোকাম পরিচালন কমিটির সভাপতি ইয়াসিন আলি, সম্পাদক আব্দুল রৌফ, সাদ উদ্দিন সাদ্দাম, আব্দুল হক ও সিরাজ উদ্দিন। সহযোগিতায় ছিলেন মোকামের খাদিম আফতার আলি, মুজিবুর রহমান, মায়ারস আলি। গোটা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সর্বধর্ম সমন্বয় সভার সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আমির হোসেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার প্রদান করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিএসএফের পক্ষ থেকে ৬০০০ লিটার বিশুদ্ধ জল প্রদান করা হয়।

