ক্লাসে বকা দেওয়ায় শিক্ষিকার চেয়ারের নিচে বিস্ফোরণ
১৭ নভেম্বর : ক্লাসে একদল ছাত্রকে শিক্ষিকা বকা দেওয়ায় আজব কাণ্ড ঘটালো পড়ুয়ারা। শিক্ষিকার চেয়ারের নিচে বাজি ফুটিয়ে প্রতিশোধ নেয়। এমন কাণ্ডে ১২ জন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানায়।
আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা ক্লাসরুম। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। চেয়ার থেকে ছিটকে মাটিতে পড়ে যান শিক্ষিকা। চেয়ারে তখন দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। শব্দ শুনে সকলের মনে হয়েছিল, সম্ভবত বোমা ফেটেছে। দ্রুত শিক্ষক, পড়ুয়ারা ছুটে আসেন। তখনও টের পাওয়া যায় আসলে কী ঘটেছে।
কিছুক্ষণ পর জানা গেল, গোটাটাই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পরিকল্পিত একটি ঘটনা। যা দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠেছেন বাকি শিক্ষকরাও। জানা গেছে, স্কুলে ঠিকমতো পড়াশোনা না করার জন্য শিক্ষিকা তুমুল বকাঝকা করেছিলেন একদল দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াকে। সেই বকা ভুলতে পারেনি কেউ। প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করেন, ক্লাসরুমেই ‘শিক্ষা’ দেবেন শিক্ষিকাকে।
ইউটিউব দেখে বোমার মতো বাজি বানানো শেখে পড়ুয়ারা। যেটি রিমোট টিপে ইচ্ছেমতো ফাটানো যায়। সেই বাজি বানিয়ে ক্লাসরুমে শিক্ষিকার চেয়ারের তলায় আটকে দিয়েছিল তারা। ক্লাসরুমে ঢুকে স্বাভাবিকভাবেই চেয়ারে বসেছিলেন শিক্ষিকা। বেঞ্চে বসেই রিমোট টিপে বাজিটি ফাটিয়ে দেয় এক ছাত্র। বাজি ফাটতেই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে ঘর। শিক্ষিকা পড়ে যান চেয়ার থেকে। পুড়ে ছারখার হয় চেয়ারটি।
যদিও এই ঘটনায় শিক্ষিকার কোনও চোট লাগেনি। কিন্তু ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে। হরিয়ানা শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে দ্বাদশ শ্রেণির ১২ জন পড়ুয়াকে এক সপ্তাহের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। স্কুলের তরফে আরও কড়া পদক্ষেপ করা যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।