সোহেল হত্যাকাণ্ডে বিচার চেয়ে পথে নামল আমসু, আছিমগঞ্জে প্রতিবাদী সভা
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ১৯ মে : শ্রীভূমি জেলার পাথারকান্দি আছিমগঞ্জের দশ বছরের সোহেল হোসেন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে এবার মাঠে নামল ছাত্র সংগঠন আমসু। ঘটনার একমাসেরও অধিক সময় অতিবাহিত হলেও পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেওয়ায় এনিয়ে ক্ষুব্ধ আমসুর কর্মকর্তারা। রবিবার সন্ধ্যায় সংগঠনের ডাকে আছিমগঞ্জে বিরাট এক প্রতিবাদী সভায় এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যাক্তি আছাহাব উদ্দিন তালুকদাদের সভাপতিত্বে এই প্রতিবাদী সভায় আমসুর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাদিক আখতার বলেন যে, গত গত ১০ এপ্রিল পাথারকান্দি সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া সোহেল হোসেন সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ হয়। সমস্ত রাত পেরিয়ে সোহেলের কোন সন্ধান না মেলায় পরদিন সোহেলের মা পাথারকান্দি থানায় পুত্রের নিখোঁজ সংক্রান্ত লিখিত একটি এজাহার দায়ের করেন। এদিকে সোহেলের বাবা জামাল উদ্দিন কর্মসূত্রে মিজোরাম থাকলে ছেলের নিখোঁজ হবার খবরে পরদিনই বাড়িতে ছুটে আসেন। পরে পাথারকান্দি পুলিশ এই নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার তদন্তে নেমে এই কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে দফায় দফায় তিনজনকে আটক করলেও শেষ পর্যন্ত এক যুবককে ধরে আদালতে প্রেরন করে রিমান্ডে নিয়ে বর্তমানে টানা জেরা চালিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে, চাঞ্চল্যকর কাণ্ডের ছয় দিনের মাথায় ১৬ এপ্রিল সকালবেলা আছিমগঞ্জের কামারবন্দ গ্রামের তথা নিখোঁজ নাবালকের বাড়ি থেকে অনুমানিক চার’শ মিটার দুরত্বের এক জলাশয় থেকে বস্তা বন্দি অবস্থায় সোহেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে সাদিক আখতার বলেন। পরে এই ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ শ্রীভূমি জেলা পুলিশসুপার পার্থপ্রতিম দাস দলবল নিয়ে তদন্তে নেমে পুত্র হারা মা-বাবা, স্থানীয় জনগণ সহ আমসুর কর্মকর্তাদের অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ঘটনার পর আজ একমাসেরও অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ অপরাধীদের কোন সন্ধান দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রতিবাদী সভায় উপস্থিত সাধারণ নাগরিক সহ আমসুর কর্মকর্তাদের সর্বসম্মতিক্রমে এনিয়ে বেশকিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়।

সভায় এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জ জেলা আমসুর সাধারন সম্পাদক আফজল হুছাইন তাপাদার, সমাজসেবী মর্তুজা হুছাইন, জেলা আমসুর সহ- সভাপতি ইয়াহিয়া চৌধুরী, উপদেষ্টা আবু সুফিয়ান, সহিদ আহমেদ পাটিকর, জাহান চৌধুরী, আব্দুল মুনিম, মৃত সোহেল হোসেনের কাকা নাসির উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, মন্তাজ আলি, ফকর উদ্দিন প্রমুখ।