জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিল সহ বিভিন্ন দাবিতে এআইডিএসও’র শিক্ষা অভিবর্তন যোরহাটে
বরাক তরঙ্গ, ১৮ জুলাই : যোরহাটের মুক্তি যুজারু ভবনে এআইডিএসও’র অসম রাজ্য কাউন্সিলের পক্ষ থেকে একত্ৰীকরণের নামে মাতৃভাষা মাধ্যমের সরকারি স্কুল বন্ধের বিরুদ্ধে, সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সমস্ত শূণ্য পদ পূরণ সহ উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা, প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাস-ফেল প্রথা পুন প্রবৰ্তন ইত্যাদি দাবিতে শিক্ষা অভিবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার আয়োজিত শিক্ষা অভিবর্তনে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্ৰাপ্ত উপাধ্যক্ষ ত্ৰিদিব গগৈ, অবসরপ্ৰাপ্ত অধ্যাপক আব্দুস সবুর এবং এআইডিএসও’র অসম রাজ্য কাউন্সিলের সম্পাদক হেমন্ত পেগু প্ৰমুখ। শিক্ষা অভিবর্তনের পূর্বে একটি মিছিল যোরহাটের মুক্তি যুঁজারু ভবনের সামনে থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান পথ পরিক্ৰমা করে পুনরায় ভবনে ফিরে আসে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা দীপ্ত কণ্ঠে স্লোগান তুলেন শিক্ষার প্ৰাণসত্বা ধ্বংসকারী জাতীয় শিক্ষানীতি -২০২০ বাতিল কর, সরকারি তহবিলে সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী কর, বন্ধ হওয়া বিদ্যালয়গুলো পুনরায় চালুর ব্যবস্থা কর, অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত শিক্ষক ও অন্যান্য কৰ্মচারীর শূন্য পদে স্থায়ী নিয়োগের ব্যবস্থা কর, প্ৰথম শ্ৰেণী থেকে পুনরায় পাস ফেল প্রথা প্ৰবৰ্তন কর ইত্যাদি।

সংগঠনের রাজ্য কাউন্সিলের সভাপতি হিল্লোল ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি পল্লব পেগু এবং আজিজুর রহমানকে নিয়ে গঠিত সভাপতিমণ্ডলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষা অভিবৰ্তনে মূল প্ৰস্তাব উত্থাপন করেন সংগঠনের রাজ্য কাউন্সিলের অন্যতম সহসম্পাদক গৌরচন্দ্র দাস এবং প্রস্তাবের সমৰ্থনে বক্তব্য রাখেন অন্যতম সহ সম্পাদক ভাইটি রিছং। এছাড়াও ওড়িশার জনৈক ছাত্রীর উপর চালানো যৌন নির্যাতন ও আত্মহত্যার ঘটনা এবং অরুণাচল প্রদেশে অসমের নাগরিকদের উপর সংগঠিত হামলার ঘটনা দুটোর উপযুক্ত তদন্ত ক্রমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবিতে প্ৰস্তুাব সৰ্বসম্মতিক্ৰমে গ্রহণ করা হয়।

শিক্ষা অভিবৰ্তনে উপস্থিত সদিয়া থেকে ধুবড়ি পর্যন্ত বিস্তৃত বিভিন্ন জেলার ছাত্র প্রতিনিধিরা প্রস্তাব গ্রহণ করেন যে আগামীতে শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো উন্নত করার দাবিতে প্ৰতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক মারফত স্মারকপত্র প্ৰদান, একই দাবিতে প্ৰতিটি ব্লকের বিইইও’ মারফত স্মারকপত্র প্ৰদান, মাতৃভাষা মাধ্যমের বিদ্যালয়গুলি কোনো অজুহাতে বন্ধ না করার দাবিতে প্রতিটি জেলার বিদ্যালয়সমূহের পরিদৰ্শক কাৰ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও স্মারকপত্র প্ৰদান, প্ৰতিটি জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ওয়ালিং- পোস্টারিং, রাজ্যব্যাপী স্বাক্ষর সংগ্ৰহ অভিযান এবং রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষাপ্ৰেমী জনসাধারণকে সাথে নিয়ে যৌথ ছাত্ৰ -শিক্ষক- অভিবাভক অভিবৰ্তন ইত্যাদি আয়োজন করা হবে। অভিবর্তনে এও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখিত দাবি পূরণ করা না হলে রাজ্যব্যাপী ছাত্ৰ ধৰ্মঘটের আহ্বান জানানো হবে।