কাটলিছড়ার পৌষমেলা ঐতিহ্যের পরিচায়ক হয়ে উঠবে একদিন, অভিমত

পৌষমেলার প্রথম দিনই বেশ জমজমাট______

বরাক তরঙ্গ, ২২ ডিসেম্বর : প্রত্যাশার চেয়ে বেশী আনন্দঘন পরিবেশে তিন দিনের পৌষমেলার উদ্বোধন হল কাটলিছড়ায়। নির্ধারিত সময়ের ঘন্টা খানেক দেরিতে উদ্বোধন হলেও উৎসাহে খামতি ছিল না মোটেই। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শান্তনু সরকার অতিথিদের নিয়ে প্রদীপ প্রজ্জলন করে চতুর্থ বারের পৌষমেলার উদ্বোধন করেন।

মঞ্চে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চালমার্স উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক নবতিপর উমেশচন্দ্র নাথ,এই স্কুলেরই অপর প্রবীণ শিক্ষক হরকান্ত নাথ ভৌমিক, গবেষক-লেখক বিবেকানন্দ মহন্ত, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস বিভাগের অধ্যাপক অভিব্রত চক্রবর্তী, প্রাক্তন শিক্ষক সমরবিজয় নাথ মজুমদার, প্রাক্তন অধ্যক্ষ দীপককান্তি আইচ, অধ্যাপক দিব্যেন্দু গোস্বামী, লেখক নিশুতি মজুমদার, লেখিকা সুস্মিতা মজুমদার, প্রবাহ সম্পাদক আশিসরঞ্জন নাথ, উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, কবি-গল্পকার অমিতাভ দেব চৌধুরী, অধ্যাপক-লেখক স্বরূপা ভট্টাচার্য, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অভিব্রত চক্রবর্তী ও অন্যান্যরা। অধ্যাপক দেবজিৎ দে’র পৌরোহিত্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার পুরনো ইতিহাস সংক্ষেপে তুলে ধরে অধ্যাপক শান্তনু সরকার কাটলিছড়ার পৌষমেলার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

কাটলিছড়ার পৌষমেলা ঐতিহ্যের পরিচায়ক হয়ে উঠবে একদিন, অভিমত

প্রবাহ সম্পাদক আশিসরঞ্জন নাথ কাটলিছড়ার পৌষমেলার ঐতিহ্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি এই পৌষমেলাকে বাণিজ্য মেলায় পরিণত না করার পরামর্শ দেন। গবেষক-লেখক বিবেকানন্দ মোহন্ত মুখ্য বক্তার ভাষণে কাটলিছড়ার পুরনো ইতিহাস তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্যে সেই সময়ের লুসাইদের আক্রমণে মেরি উইনচেনস্টার অপহরণ প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। অমিতাভ দেব চৌধুরী, স্বরূপা ভট্টাচার্য, নিশুতি মজুমদার, সুস্মিতা মজুমদাররা পৌষমেলার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা আশা প্রকাশ করে বলেন কাটলিছড়ার পৌষমেলা ঐতিহ্যের পরিচায়ক হয়ে উঠবে এক দিন।

কাটলিছড়ার পৌষমেলা ঐতিহ্যের পরিচায়ক হয়ে উঠবে একদিন, অভিমত

বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বাঙালির কৃষ্টি সংস্কৃতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পৌষমেলার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। তিনি কাটলিছড়ার মত প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌষমেলার মত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার আয়োজন করায় মেলা কমিটি সহ অঞ্চলবাসীর প্রশংসা করেন। গোটা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে পৌষমেলার দেওয়াল পত্রিকা নাড়ির টানে-র আবরণ উন্মোচন কতেন অধ্যাপক শান্তনু সরকার। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় এবং পৌষমেলার স্মারক স্বরূপ ছোট আকারের কুলা তুলে দেওয়া হয়।

Author

Spread the News