গুরুচরণ কলেজে এক দিবসীয় সরলমানক সংস্কৃত কর্মশালা উদযাপন

বরাক তরঙ্গ, ৭ মার্চ : গুরুচরণ কলেজের কনফারেন্স হলে বুধবার ‘এক দিবসীয় সরলমানক সংস্কৃত কর্মশালা’ আয়োজন করা হয়। ভারতীয় ভাষা সমিতি শিক্ষামন্ত্রালয়, ভারত সরকারের অর্থানুকূল্যে আয়োজিত হয় এই কর্মশালা। এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা কুমার ভাস্করবর্মা সংস্কৃত এবং পুরাতন অধ্যয়ন বিশ্ববিদ্যালয়, গুরুচরণ কলেজ ও সংস্কৃত ভারতী পূর্বোত্তর ভারত। এই কর্মশালায় কলেজের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপকবৃন্দ ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ যোগদান করেন।

গুরুচরণ কলেজে এক দিবসীয় সরলমানক সংস্কৃত কর্মশালা উদযাপন

গুরুচরণ কলেজের অধ্যক্ষ ড. বিভাগ দেবের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় মুখ্য অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃত ভারতী পূর্বোত্তর ভারতের অধ্যক্ষ ডঃ শঙ্কর ভট্টাচার্য, কর্মশালার সংযোজক কুমার ভাস্করবর্মা সংস্কৃত এবং পুরাতন অধ্যয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. রণজিতকুমার তেওয়ারি, রাজস্থান ক্ষেত্রের ক্ষেত্র-সংগঠনমন্ত্রী কমল শর্মা, নলবাড়ি শংকরদেব শিশু বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক কৃষ্ণরাজ বংশী, ত্রিপুরা ধর্মনগর কলেজের ড. অনিন্দিতা অধিকারী, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. গোবিন্দ শর্মা সহ আরো অধ্যাপক অনেকেই। স্বাগত ভাষণে ড. রণজিতকুমার তেওয়ারি বলেন সংস্কৃত ভাষার প্রতি আগ্রহ বাডানোর নতুন ছাত্রছাত্রী যুব-সম্প্রদায়ের মধ্যে আসহ বাড়ানোর লক্ষ্যে সরল সংস্কৃত ভাষার প্রচার ও প্রসার করা প্রয়োজন”। এরপর অনুষ্ঠানের মুখ্য বক্তা কমল শর্মা এই কর্মশালা আয়োজনের প্রাসংগিকতা বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন।

গুরুচরণ কলেজে এক দিবসীয় সরলমানক সংস্কৃত কর্মশালা উদযাপন

সরল সংস্কৃত ভাষা চর্চার মধ্য দিয়ে আধুনিক ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থাকে যে নতুনভাবে রূপদান করা সম্ভব- এ বিষয়ে তিনি প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন। কলেজের অধ্যক্ষ ড. বিভাগ দেব তাঁর আলোচনায় বলেন সংস্কৃত “দেবভাষা” এবং এই ভাষা সমাজের সর্বত্র এবং প্রচারের মধ্য দিয়ে ভারতীয় সভ্যতাকে আরও উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে হবে। ড. গেবিন্দ শর্মা ড. শংকর ভট্টাচার্য, ড. অনিন্দিতা অধিকারী সংস্কৃত ভাষার মহত্ব ও রূপবৈচিত্র্য এবং বর্তমান সমাজে এর উপযোগিতা বিষয়ে প্রাসংগিক বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে এবং শেষে সংস্কৃতগীতি পরিবেশিত হয়। সবশেষে অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয় এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে কর্মশালার সমাপ্তি ঘটে। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন কলেজের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক-অধ্যাপিকাবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক ড. কেশব লুইটেল।

Author

Spread the News