‘চলো জিতে হ্যায়’ শীর্ষক একটি চলচ্চিত্র শিক্ষামন্ত্রকের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি
১৯ সেপ্টেম্বর : কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক সম্প্রতি তার অধীনস্থ সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন এবং নবোদয় বিদ্যালয় সমিতি-কে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়ে বলেছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২রা অক্টোবর পর্যন্ত এই তিনটি সংস্থার অধীনস্থ সমস্ত স্কুলকে ‘চলো জিতে হ্যায়’ শীর্ষক একটি চলচ্চিত্র ছাত্রছাত্রীদের দেখাতে হবে, যা প্রধানমন্ত্রীর শৈশব ও যৌবনের গল্প অবলম্বনে নির্মিত। শিক্ষামন্ত্রক মনে করে যে, এটি ছাত্রছাত্রীদের জীবনে অনুপ্রেরণা জোগাবে। এআইডিএসও’র কেন্দ্রীয় কাউন্সিল এটিকে একটি চরম অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ বলে মনে করে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক শিবাশিস প্রহরাজ এক প্রেস বার্তায় বলেন, এর আগেও শিক্ষামন্ত্রক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে বিভিন্ন স্কুলে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছিল। এআইডিএসও তখনও এর প্রতিবাদ করে। শিক্ষার স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এ ধরনের অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নিজেদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয় যে ভারতীয় নবজাগরণের মহান চিন্তাবিদ এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবীদের জীবন-সংগ্রাম অধ্যয়ন করলে শিক্ষার্থীরা সত্যিকারের অনুপ্রেরণা পেতো এবং তা ছাত্রছাত্রীদের উন্নত চরিত্র গঠনে সহায়ক হতো। কিন্তু, বর্তমান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে থাকা সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন এই মহান ব্যক্তিদের জীবনী এবং ইতিহাস পাঠ্যক্রম থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০’ চালু করেছে, যার ফলে সরকারি শিক্ষার ব্যাপক বাণিজ্যিকীকরণ ও কেন্দ্রীকরণ হয়েছে। ফলস্বরূপ, তারা এ ধরনের অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নিতেও দ্বিধা করছে না। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রককে অবিলম্বে এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি দেশের গণতান্ত্রিক ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকদেরও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এগিয়ে এসে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
