জরুরি ভিত্তিতে মোদির ক্যাবিনেট বৈঠক, শান্তির পক্ষে থাকার আহ্বান নেপালবাসীকে
১০ সেপ্টেম্বর : নেপালের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা নিয়ে মোদি বললেন, “নেপালের ঘটনা হৃদয়বিদারক। ভারতের কাছে প্রথম গুরুত্ব নেপালের শান্তিরক্ষা ও স্থিতিশীলতা। নেপালি ভাই-বোনেদের কাছে আমার আবেদন, আপনারা শান্তির পক্ষে থাকুন।” নিহতদের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, নেপালের কাঠমাণ্ডু সহ একাধিক শহরে কার্ফু জারি করা হয়েছে। আমরা সেদিকে নজর রাখছি। নেপালে যে সমস্ত ভারতীয়রা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের নেপাল প্রশাসনের নির্দেশ মতো চলতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, নতুন করে ভারতীয়দের নেপাল যাত্রা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। সীমান্তগুলিতেও জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। কোনওভাবেই যাতে নেপালের ঘটনার আঁচ ভারতে এসে না পড়ে সেদিকে কড়া নজর রাখছে ভারত।
এছাড়াও ভারত-নেপাল বর্ডার উন্মুক্ত। সেখানে অবাধ যাতায়াত। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারতে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে ভারত বিরোধীরা। সে বিষয়েও সতর্ক নয়াদিল্লি। তবে ভারত নেপালের শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে হলেও আগ বাড়িয়ে যে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ সহ প্রায় ২৬ টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নেপাল (Nepal) সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে গোটা দেশ। এছাড়াও অনেকদিন ধরে নেপাল সরকারের দুর্নীতি, সামাজিক বৈষম্য, অনুন্নয়ন নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল নতুন প্রজন্মের মধ্যে। তার ওপরে অনুঘটকের মত কাজ করেছে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার বিষয়টি।
চাপে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও, হিংসার আগুন নেভেনি নেপালে। ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেনার হেলিকপ্টারে চড়ে দেশ ছেড়েছেন ওলি।

